টুকরো খবর
পড়ুয়াদের চারা দিল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ
দূষণ রুখতে বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়ার প্রায় ৬০০ পড়ুয়া ও ২০০ স্কুলশিক্ষকের হাতে গাছের চারা তুলে দিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বর্ধমান টাউন স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে প্রবীণ বৈজ্ঞানিক প্রবীরকুমার বারুই ও অর্জুন ফৌজদার বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় সভা করে প্রত্যেককে সচেতন করার চেষ্টা করছি। অথচ শিক্ষিত লোকজনই থলে না নিয়ে বাজারে যাচ্ছেন। প্লাস্টিক ফেলছেন সর্বত্র।” প্রবীণবাবুদের বক্তব্য, প্রতিটি সরকারি অফিসে, স্কুলে গিয়ে তাঁরা পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার না জন্যও আবেদন জানাবেন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের বলা হবে তারা যেন নিজের বাড়ি ও স্কুলকে প্লাষ্টিক মুক্ত করে তুলতে পারেন। একই মত অনুষ্ঠানে উপস্থিত বর্ধমানের ভারপ্রাপ্ত জেলা স্কুল সমূহের পরিদর্শক নিলীমা গিরিরও। অনুষ্ঠানের দুই আয়োজক অনুপ ভট্টাচার্য ও অতনু নায়ের বলেন, ‘‘প্রতি দু’মাস অন্তর স্কুলগুলিতে যাব আমরা। পরিচ্ছন্ন স্কুলগুলিতে ফের গাছের চারা বিলি করা হবে।” এ দিনই সর্বশিক্ষা দফতরের উদ্যোগে জেলার ৫৯টি প্রাথমিক ও নিম্নবুনিয়াদি শিক্ষা কেন্দ্রকে ‘নির্মল বিদ্যালয়’ পুরস্কার দেন জেলাশাসক ওঙ্কারসিংহ মিনা। স্কুল প্রাঙ্গন পরিচ্ছন্ন রাখা, সুস্বাস্থ্যের উপযোগী ও দূষণমুক্ত রাখার ব্যাপারে কৃতিত্ব দেখিয়েছে, এমন স্কুল ও শিক্ষাকেন্দ্রগুলিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। অন্য দিকে, বর্ধমানের কালনার বৃদ্ধপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়শূল জুনিয়র বেসিক স্কুল দু’টিকে দেওয়া হয় শিশুমিত্র পুরস্কার। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি দেবাশিস নাগ বলেন, “শিশুমিত্র আন্দোলনে অন্যান্য জেলার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বর্ধমান।”

চারটি ঘর ভাঙল হাতি
বুনো হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ আলিপুর দুয়ারের বনচুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাতেও একটি মাকনা হাতি গ্রামে ঢুকে প্রায় দু’ঘন্টা দাপিয়ে বেড়ায় ওই গ্রামে। চারটি ঘর ভাঙে। ধান ও চাল সাবাড় করে। পরে বাসিন্দারা মশাল জ্বেলে হাতিটিকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধানের লোভে প্রতি রাতে গ্রামে হাতি ঢুকছে। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা নিয়ে এক সপ্তাহে ৩০টি হাতির হামলা হল। বনচুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দয়া পান্না বলেন, হাতির হামলা লেগেই আছে। ঘরদোর ভেঙে ধান খাচ্ছে। ফসল নষ্ট করছে। বন দফতরে বলে লাভ হয়নি।” এ কথা অস্বীকার করেননি বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম দমনপুর রেঞ্জ অফিসার সজল সরকার। তিনি বলেন, “কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না ঠিক কথা নয়। খবর পেয়ে বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা করছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঙ্গলবার রাতে মাকনা হাতিটি স্বপন ঘোষ, মানিক দে সহ তিন জনের ঘর ভাঙে। স্বপন বাবুর রান্না ঘর ভেঙে সব চাল খায়।

হাতির পায়ে পিষ্ট তিন
হাতির হানায় দুই মহিলা-সহ তিনজনের মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালপাড়া জেলায়। পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ একটি দলছুট হাতি কৃষ্ণাইয়ের মোরওয়ামি গ্রামের ভিতরে ঢুকে পড়ে। ভাঙে বেশ কিছু বাড়ি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা যান আমিন বসুমাতারি (৫০)। এরপর সাড়ে ১০টা নাগাদ জাগ্রতপাড়ায় ঢুকে পুষ্প কর্মকার (৫৫) ও কল্পনা নাগ (৪০) নামে দুই মহিলাকে হত্যা করে সে।

কমছে সবুজ
ধীরে ধীরে রাজ্যগুলো থেকে মুছে যাচ্ছে সবুজের চিহ্ন। কেন্দ্রীয় সরকারের বনাঞ্চল সংক্রান্ত এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, মিজোরাম, মহারাষ্ট্রের মতো চোদ্দোটি রাজ্যে জঙ্গল ক্রমেই কমে আসছে। ওই চোদ্দোটি রাজ্যে প্রায় ৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় গাছপালা কেটে বসত গড়ার কাজ হয়েছে। বিহার, গোয়া, জম্মু ও কাশ্মীর কর্নাটকে সবুজের পরিমাণ বেড়েছে। তবে মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি ও সিকিমে সবুজের পরিমাণ রয়েছে আগের মতোই।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.