অর্থাভাবে বা অন্য কারণে নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে শুনলে খবর দিতে বলেছিল গাইঘাটার ধর্মপুর ১ পঞ্চায়েত।
শুক্রবার এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী খবর পান, স্থানীয় নটগ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। সোজা গিয়ে পঞ্চায়েতে জানান বিজয়া মাইতি নামে ওই কর্মী। পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি জানান গাইঘাটা থানার ওসি অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং বিডিও পার্থ মণ্ডলকে। পরে তাঁরা তিন জন এবং গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির নারী-শিশু ও ত্রাণ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ কণা গুহ মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে বোঝান, এখনই তার বিয়ে না দিতে। পাশাপাশি সাবালিকা হওয়ার পরে ওই মেয়েটির বিয়ের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের প্রধান। বিডিও বলেন, “পাত্রপক্ষকে বোঝানোর পরে তাঁরাও বিয়ের জন্য কয়েক বছর অপেক্ষা করতে রাজি হয়েছেন।”
উত্তর ২৪ পরগনার ওই পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় বছর ধরে নাবালিকা বিয়ের কুফল নিয়ে ওই এলাকায় পঞ্চায়েতের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে। প্রধান অতুল দে বলেন, “নাবালিকা বিয়ে দিলে কী শাস্তি হতে পারে, মেয়েটিরই বা কী ক্ষতি হতে পারে সে ব্যাপারে পঞ্চায়েতের তরফে প্রচার চলছে নিয়মিত। পঞ্চায়েতের যে মাসিক বৈঠক হয় সেখানেও এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।” তিনি জানান, নাবালিকা বিয়ে রুখতে স্বাস্থ্যকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদেরও প্রচারের কাজে লাগানো হয়। তার ফলও মিলেছে। ইতিমধ্যে কয়েক জন নাবালিকার বিয়েও আটকেছে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সপক্ষে বাবা-মায়ের মূল যুক্তি হয় অর্থাভাব। অতুলবাবুও বলেন, “অনেক সময়েই অর্থাভাবে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে বাধ্য হন বাবা-মা। সে সব ক্ষেত্রে, মেয়েটি সাবালিকা হওয়ার পরে পঞ্চায়েত থেকে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে।’’ ব্লক প্রশাসনও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। |