টুকরো খবর
সিপিএম কর্মী প্রহৃত গোঘাটে, অভিযুক্ত তৃণমূল
সিপিএম কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে গোঘাটের আসলহরি গ্রামে। হেবো রায় নামে ওই সিপিএম কর্মীকে প্রথমে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, হেবো তাঁর দুই বন্ধু সাহেব রায় ও শ্যামল রায়ের সঙ্গে স্থানীয় গোয়ালসারা থেকে কালীপুজো দেখে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। সাহেব রায়ের অভিযোগ, “আসলহরি গ্রামে লাইব্রেরি মোড়ের কাছে তৃণমূল সমর্থকেরা আমাদের মোটর সাইকেল আটকে রড, বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে। আমি ও শ্যামল পালাতে পারলেও হেবো পারেনি।” সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্রের অভিযোগ, “কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায় বলেন, “এটা সিপিএমের গোষ্ঠী কোন্দলেরই ফল। অযথা আমাদের দলের নাম জড়াচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আট জনের নামে বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।

গৃহস্থের মারে পালাল ডাকাত
ডাকাতি করতে এসে গৃহকর্তার হাতে মার খেয়ে রিভলভার ফেলে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে বসিরহাট থানার মুনলাইটপাড়ায়। তবে যাওয়ার আগে নগদ ও গয়না-সহ বেশ কয়েক হাজার টাকার জিনিস ডাকাতেরা লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে বলে আক্রান্ত পরিবারের দাবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় গাবতলা ও আখড়াতলায় গয়নার দোকান রয়েছে নারায়ণ সিংহের। শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা করে। নারায়ণবাবু বলেন, “ওরা আমার ছেলেকে মারধর করে। ছেলের ঘর থেকে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে আমি বাইরে বেরিয়ে এলে অন্য একজন দুষ্কৃতী আমার মাথায় রিভলভার দিয়ে মারে। সেই সময় দরজা বন্ধ করার খিল দিয়ে আমি এক দুষ্কৃতীর মাথায় মারি।” নারায়ণবাবুর ছেলে বাপি সিংহ বলেন, “দোকান থেকে যে গয়না নিয়ে ফিরেছি মনে সে কথা বোধহয় জানত দুষ্কৃতীরা। তাই হামলা চালায়।” এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ২ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় চারটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। কোনও ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

মিলল বেতন
অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পেলেন ডানকুনি টোলপ্লাজার অস্থায়ী কর্মীরা। কাজ হারানোর আশঙ্কায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে ওই টোলপ্লাজায় রাস্তার একাংশ আটকে মঞ্চ বেঁধে শুক্রবার থেকে দু’দিনের অনশন কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা। নেতৃত্বে ছিল তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। শনিবার আইএনটিটিইউসি-র ডানকুনি টোলপ্লাজা শাখার সভাপতি তথা হুগলি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন দুপুরে অস্থায়ী কর্মীরা ঠিকাদারের কাছ থেকে অক্টোবরের বকেয়া বেতন পেয়ে গিয়েছেন। রাস্তা থেকে মঞ্চও খুলে ফেলা হবে।”

মিলল প্রৌঢ়ের দেহ
বাদুড়িয়ার কেওটশা গ্রামে শনিবার ভোরে এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর নাম আরসাদ আলি মণ্ডল (৫৪)। পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, ইটভাটার শ্রমিক আরসাদ আলি মণ্ডল বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার ভোরে তেঁতুলিয়া-মসলন্দপুর রাস্তার পাশে একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়।

দোকানে চুরি
দোকানের শাটার এবং গ্রিল ভেঙে সোনা-রূপোর গয়না চুরি করে নিয়ে গেল দুষ্কতীরা। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে হুগলির চণ্ডীতলার গঙ্গাধরপুরের রাধাগোবিন্দতলায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দেড় ভরি সোনা, কয়েক ভরি রূপো ছাড়াও কয়েক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চোরেরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে, কেউ ধরা পড়েনি। গয়না-টাকাও মেলেনি।

ট্রেনে কাটা মা ও ছেলে
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল মা ও শিশুর। শনিবার দুপুরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার শ্রীপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম সূর্য শিকদার (২), মায়ের নাম স্বপ্না শিকদার(৩০)।

জয়নগরে চুরি জোড়া মূতির‌্
চরি যাওয়া মূর্তি: এই মূর্তি দু’টির চুরি নিয়েই শোরগোল। —নিজস্ব চিত্র
অন্তত আড়াইশো বছরের পুরনো দু’টি কষ্টিপাথরের বিগ্রহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের একটি মন্দির থেকে চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মূর্তি দু’টির একটি শ্যামসুন্দরের, অন্যটি গোপীবল্লভের। জয়নগরের ময়দা গ্রামে সুবোধ গোপাল বসুর পরিবারের মন্দিরে কুলদেবতা হিসেবে ওই দু’টি বিগ্রহ পূজিত হত। বিগ্রহ যুগলের গায়ে কোনও গয়না ছিল না ও মূর্তি দু’টি মূল্যবান ধাতুরও তৈরি নয়। তাই, মূর্তির ধাতু গলিয়ে বা গয়না বেচে টাকা রোজগার এ ক্ষেত্রে করা যাবে না। সে জন্য পুলিশের সন্দেহ, ওই চুরি সাধারণ চোরের কাজ নয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রত্নসামগ্রী বা প্রাচীন মূর্তির চোরাকারবার করে, এমন কোনও চক্র এর সঙ্গে জড়িত। গত ১ ডিসেম্বরের ওই চুরির ঘটনায় জয়নগর থানার পুলিশ একটি চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত প্রভুদয়াল সিংহ ওই মন্দিরের পাহারা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত ছিলেন। দিন তিনেক আগে অবশ্য আদালত তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্কণপ্রসাদ বারুই বলেন, “জয়নগরের ময়দা গ্রামে কষ্টিপাথরের দু’টি মূর্তি চুরি যাওয়ার ঘটনায় চুরির মামলা রুজু হয়েছে।” কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা অনুপ মতিলালের বক্তব্য, “মনে হচ্ছে, মূর্তি দু’টির প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব আছে। এই ধরনের মূর্তি খোয়া যাওয়া সব সময়েই উদ্বেগের।”

নেশার টাকা জোগাড়েই ডাকাতি, দাবি পুলিশের
মধ্যমগ্রামের সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত প্রিয়ঙ্কা মণ্ডল অল্প বয়স থেকেই অপরাধমূলক কাজ করত, জানিয়েছে পুলিশ। জেরায় বছর উনিশের ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে, নেশার টাকা জোগাড় করতেই সে পরিচিত দুষ্কৃতীদের দিয়ে চুরি, ডাকাতি করাত। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের ওই ডাকাতির ঘটনায় অপর অভিযুক্ত তারক মণ্ডলকেও শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাড়ি হৃদয়পুরে। বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যমগ্রামের চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা অরবিন্দ দাসের বাড়িতে ডাকাতি করে এক দল দুষ্কৃতী। গৃহকর্তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। কিন্তু তারা পালায়। ডাকাতির সময় প্রিয়ঙ্কা বাড়ির বাগানের কোণে একটি মন্দিরের ভিতর পাহারা দিচ্ছিল। অরবিন্দবাবুর চিৎকারে পাঁচিল ডিঙিয়ে পালাতে গিয়ে সে প্রতিবেশীদের হাতে ধরা পড়ে। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেরায় জানা গিয়েছে প্রিয়ঙ্কার অপরাধের ইতিহাসও। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রিয়ঙ্কা ছোট থাকতেই তার মা বাবাকে ছেড়ে চলে যায় অন্য পুরুষের কাছে। তার পর মাত্র ১০ বছর বয়সেই পরিচারিকার কাজে পাঠিয়ে দেয় প্রিয়ঙ্কাকে। সেই শুরু। তার পর থেকেই একের পর এক কাজের বাড়িতে হাতসাফাই চালিয়ে গিয়েছে সে। তেরো-চোদ্দো বয়সে মদের কবলে পড়ে প্রিয়ঙ্কা। সেই নেশার টাকা জোগাড় করতেই এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করত সে। পরে তাদের বিয়ে করত এবং তাদের দিয়েই চুরি, ডাকাতি করাত। পরিচারিকার কাজ করায় বিভিন্ন এলাকার সম্পন্ন গৃহস্থদের খোঁজ থাকত তার কাছে। কোন বাড়িতে চুরি বা ডাকাতি হবে তার পরিকল্পনাও করত প্রিয়ঙ্কা। ধৃত তারক প্রিয়ঙ্কার স্বামী দেবরাজের বন্ধু বলে পুলিশের দাবি।

মামাকে মার
পাত্র পক্ষের মারে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন পাত্রীর মামা। পলতার শ্রীপল্লির ঘটনা। শ্রীপল্লির একটি মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের গত অক্টোবরে রেজিস্ট্রি হয়। ডিসেম্বরে তাঁদের আনুষ্ঠানিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। পাত্রীর পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের দিন এগিয়ে আসতেই পণের জন্য চাপ দিতে শুরু করে পাত্র পক্ষ। শনিবার তারা পাত্রীর বাড়িতে চড়াও হয়ে পরিজনদের মারধর করে বলে অভিযোগ।

নাবালিকা-নিগ্রহ
যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছ, অভিযুক্ত নীলকমল দাস ভ্যানচালক। বারাসতের দ্বিজমাধব কলোনির বাসিন্দা। শনিবার নীলকমলের প্রতিবেশী দুই নাবালিকাকে দেখে সন্দেহ হয় পাড়ার মহিলাদের। তাঁরা সাত ও নয় বছরের ওই দুই বালিকাকে জিজ্ঞাসা করে নীলকমলের কুকীর্তির কথা জানতে পারেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.