চোলাই কারবারীদের বিরুদ্ধে মহিলাদের সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন দেখা গিয়েছিল আগেই। পুলিশ-প্রশাসন এবং বিএসএফের ভূমিকায় ভরসা রাখতে না পেরে এ বার গরু পাচার বন্ধ করতেও কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তাঁরা।
গত শনিবারই গাইঘাটার ডিঙামানিক এলাকায় গরু ভর্তি তিনটি ট্রাক আটকে পুলিশের হাতে তুলে দেন এলাকার মহিলারা। সহযোগিতা করছেন পুরুষেরাও। গাইঘাটার বিডিও পার্থ মণ্ডল বলেন, “বোঝা যাচ্ছে, মানুষ সচেতন হচ্ছেন। প্রশাসনের তরফে ওই সব মহিলাদের যাবতীয় সহযোগিতা করা হবে।”
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার এক প্রান্তে গাইঘাটার ঝিকরা, সেকাটি, ডিঙামানিক প্রভৃতি গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই গরু পাচারের করিডর। বিভিন্ন সময়ে পুলিশের অভিযান হলেও তা বন্ধ হয়নি। পাচারকারীরা গরুর পাল নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিবাদ করায় পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মত্যুর নজিরও রয়েছে। এলাকায় দুষ্কৃতী আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে চোলাইয়ের ঠেক। যার ফলে বাড়ছে পারিবারিক অশান্তি। এ বার সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার বন্ধ করতে মহিলারা এগিয়ে আসায় পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ আশার আলো দেখছেন।
গাইঘাটার বাসিন্দা সুমিত্রা বিশ্বাস, আন্না বৈরাগী, রূপা ঘোষেরা বলেন, “এই এলাকায় গরু পাচার যে ভাবে বেড়েছে, তাতে অশান্তি বাড়ছে। রাস্তাঘাটে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমাদেরই পথে নামতে হয়েছে।” যদিও গরু পাচার বন্ধে পুলিশের সাম্প্রতিক ভূমিকার প্রশংসাও শোনা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দদের মুখে। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “গরু পাচার রুখতে মহিলারা যে ভাবে এগিয়ে আসছেন তা আমাদের পক্ষে ভাল খবর। এতে পুলিশের পক্ষে পাচারকারীদের গতিবিধি বোঝা সহজ হবে।” |