মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শনিবারের ইনিংসটা দেখার পর বলতে বাধ্য হচ্ছি, আজ পর্যন্ত টেস্টে ধোনিকে এত ভাল খেলতে দেখিনি। নিশ্চয়ই বলবেন, কী এমন আহামরি ইনিংস যে এ কথা বলছি? সেঞ্চুরিও তো করল না। কিন্তু কথাটা বলছি বেশ কয়েকটা কারণে।
দেখুন, টেস্টে আমি অধিনায়ক ধোনির খুব বড় সমর্থক নই। কিন্তু আজকের ইনিংসটার কথা ভাবুন। কী অসহ্য চাপ নিয়ে ও খেলল। প্রথমত, নাগপুরের পিচ ওর মতো ক্রিকেটারের মোটেই পছন্দ হওয়ার কথা নয়। ধোনি স্বভাবসিদ্ধ আক্রমণাত্মক। বোলারকে থেঁতলে দিতে চায়। কিন্তু শনিবার ও সে সবের ধারেকাছে গেল না। ধোনি জানত, একটা উইকেট পড়লে ম্যাচটা হেরে যাব। জানত, ওর ব্যাটিং আবার ফ্লপ করলে শ্রীনিবাসনও বাঁচাতে পারবে না। আমি তো বলব, জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলতে নেমেছিল ধোনি। আর খেলে গেল জীবনের সেরা টেস্ট ইনিংস। ওর ভাল ভাল টেস্ট ইনিংসগুলোর কথা মাথায় রেখেই বলছি, শনিবারের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে ও আগে পড়েনি।
চার দিকে ‘ধোনি হঠাও’ আওয়াজ না উঠলে হয়তো এই ইনিংস দেখা যেত না। দরকার ছিল ওকে ‘কমফোর্ট জোন’ থেকে বের করে আনার। নইলে ওর মতো আগুনে ব্যাটসম্যান ২৪৬ বল খেলে ৯৯ করছে, অনায়াসে অগ্রাহ্য করছে সমস্ত ঝুঁকির শট ভাবা যায়? শনিবারের ধোনির ব্যাটিং চোখকে আরাম দেবে না। কিন্তু টিমের কাছে ওই ইনিংস অমূল্য। সিরিজে এই প্রথম ধোনিকে দেখলাম সামনে থেকে সব কিছু করছে। ক্যাপ্টেনের যেটা করা উচিত। ব্যাটিং অর্ডারে উঠে এল, ব্যাটিংয়ের ধরন পাল্টে ফেলল। আমি বলছি না এই ইনিংস ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা থামিয়ে দেবে। টেস্টে কী করে শেষ পর্যন্ত, তার উপর দাঁড়িয়ে ওর নেতৃত্বের মার্কশিট। কিন্তু ব্যাটসম্যান ধোনি নিজের জায়গাটা শনিবারের পর বাঁচিয়ে ফেলল।
|
নিরানব্বইয়ের গেরো |
• প্রথম উইকেটকিপার হিসাবে টেস্টে ৯৯ রান আউট।
• প্রথম অধিনায়ক হিসাবে টেস্টে ৯৯ রান আউট
• দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে ৯৯ রান আউট (প্রথম জন এম এল জয়সীমা)
• গ্যারি সোবার্স, স্টিভন ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে অধিনায়ক হিসাবে সবচেয়ে বেশি (৪ বার) আটকে গেলেন নব্বইয়ের ঘরে। |
|