দীপাবলি পেরিয়ে গেলেও পুরুলিয়া জেলার কয়েকটি এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখনও দুর্গাপুজোর বোনাসের টাকা হাতে পেলেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষক মহলে। শিক্ষকদের নামের তালিকা চারটি চক্র (সার্কেল) থেকে দেরিতে আসায় এই সমস্যা বলে দাবি করেছেন পুরুলিয়া জেলা শিক্ষা সংসদে সভাপতি নীলকমল মাহাতো।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় ৪৫টি চক্র রয়েছে। তার মধ্যে মানবাজার ১, ৩ এবং বরাবাজার ১ ও সাতুড়ি চক্রের শিক্ষকেরা পুজোর বোনাস পাননি। চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত যে সব শিক্ষকদের বেসিক ১৬ হাজার ২৯০ টাকা, তাঁরাই বোনাস পাওয়ার যোগ্য। এককালীন আড়াই হাজার টাকা তাঁদের বোনাস হিসেবে পাওয়ার কথা। বরাবাজারের কুটরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মনোজ গড়াই, সহিসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পার্থসারথি কুণ্ডুদের অভিযোগ, “পুজোর সময় ওই টাকাটা পেলে কাজে লাগত। কী কারনে আমরা বোনাসের টাকা পেলাম না বুঝতে পারছি না। স্থানীয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে এ নিয়ে কয়েক বার তাগাদা দিয়েও লাভ হয়নি।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বলেন, “মানবাজার ১ ও ৩, সাতুড়ি এবং বরাবাজার ১ চক্রের কিছু শিক্ষক পুজোর বোনাসের টাকা পাননি।” তাঁর অভিযোগ, “ওই চক্রগুলির দায়িত্বে থাকা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকেরা বোনাস পাওয়ার যোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা দেরিতে পাঠিয়েছিলেন। ওই তালিকা অনুমোদনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়ছে। তাই তাঁদের বোনাসের টাকা পেতে দেরি হচ্ছে।” তাঁর আশ্বাস, আগামী মাসের বেতনের সঙ্গে ওই বোনাসের টাকা যাতে তাঁরা পেয়ে যান, সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
যদিও বরাবাজার ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় বেরার দাবি, “দুর্গাপুজোর অনেক আগেই ওই শিক্ষকদের নামের তালিকা জেলায় পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাঁদের বোনাসের টাকা আটকে গেল জানি না।” মানবাজার ১ ও ৩ চক্রের দায়িত্বে থাকা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌতম মণ্ডলেরও দাবি, “ওই তালিকা যথা সময়ে পাঠানো হয়েছিল।” এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক অনিল মাহাতো বলেন, “কিছু লোকের গড়িমসির জন্যই চারটি ব্লকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বোনাসের টাকা আটকে গিয়েছে। অবিলম্বে ওই টাকা দিতে হবে।” |