|
|
|
|
কার্তিক রেখে পালাতে গিয়ে মৃত্যু কিশোরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
গ্রামেরই এক বাড়িতে কার্তিকের মূর্তি দিতে গিয়েছিল সে। কিন্তু, ঘরে ফেরার পথে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হল বছর সতেরোর প্রসেনজিৎ মাহাতোর। এ বার তার উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। ঘটনার জেরে শোকস্তব্ধ শালবনি থানার ধানশোলা গ্রাম। শুক্রবার দুপুরে গ্রামেই তার দেহ দাহ করা হয়েছে। শুক্রবার ছিল কার্তিক পুজো। এই দিনে সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের বাড়িতে কার্তিকের মূর্তি রেখে দেওয়ার চল আছে গ্রামবাংলায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে গ্রামের এক বিবাহিত যুবকের বাড়িতে কার্তিকের মূর্তি রাখতে গিয়েছিল প্রসেনজিৎ। তার সঙ্গে দুই বন্ধুও ছিল। শোরগোলের শব্দ শুনে ওই যুবকের পরিবারের লোকেরা বাইরে বেরোন। এই সময় দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় প্রসেনজিৎ। তার হৃদরোগের সমস্যা ছিল। এ দিন পড়ে গিয়ে বুকে আঘাত পাওয়ার পরই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন ওই ছাত্রকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনার ব্যবস্থা করেন। তবে গ্রামেরই এক ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করায় পরিবারের লোকজন আর দেহ হাসপাতালে পাঠাতে রাজি হননি। প্রসেনজিৎ শালবনি থানার গোদাপিয়াশাল হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। অভাব-অনটনের সংসারে একমাত্র সন্তান ছিল সে। বাবা তারাপদ মাহাতো চাষবাস করেন। সামান্য জমি রয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থায় অস্থায়ী কর্মীর কাজ করতেন। মা যমুনাদেবী গৃহবধূ। প্রসেনজিৎকে পড়াতেন দিলীপ মাহাতো। দিলীপবাবু বলছিলেন, “এই ভাবে কারও মৃত্যু হতে পারে বলে ভাবতেই পারি না। ঘটনার খবর শোনার পর থেকে মন খারাপ। কিছু ভাল লাগছে না।” |
|
|
|
|
|