|
|
|
|
ঝাড়খণ্ডে পঞ্চায়েত পেল কৃষির দায়িত্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
নির্বাচিত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত গঠিত হওয়ার প্রায় দু’বছর পর পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটাল ঝাড়খণ্ড সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে মূলত কৃষি বিষয়ক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটানো হচ্ছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে জেলার কৃষি বিভাগের আর্থিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা।
সরকারি সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠনের পর প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় ২০১০ সালে। বছর দুয়েক আগে নির্বাচিত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠিত হলেও পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানের কোনও আর্থিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা ছিল না। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা গত দু’বছরে অনেক বার পথেও নেমেছেন। দেরিতে হলেও, ঝাড়খণ্ডের পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠানের হাতে যে ভাবে জেলার কৃষি দফতরের আর্থিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা তুলে দেওয়া হল, দেশের মধ্যে তা বিরল ঘটনা বলে সরকারি আমলাদের একাংশের দাবি।
সরকারি সূত্রের খবর, পঞ্চায়েতের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের রূপরেখা নিয়ে অনেক দিন ধরেই পর্যালোচনা চলছিল। গত অক্টোবর মাসে বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের সিদ্ধান্ত সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত হয়। সরকারি সূত্রের খবর, জেলা স্তরে কৃষি দফতরের যাবতীয় আর্থিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব ও ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে পঞ্চায়েতিরাজ প্রতিষ্ঠানের হাতে। কৃষি দফতরের জেলা পর্যায়ের কাজের ক্ষমতা থাকবে নির্বাচিত জেলা পরিষদের হাতে। ব্লক স্তরের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির উপরে। গ্রাম পর্যায়ের কাজ করবে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত।
এখন থেকে জেলাস্তরে কৃষি দফতরের সমস্ত কাজের দায়িত্বই থাকছে জেলা পরিষদের উপর। এর জন্য জেলা কৃষি দফতরের কর্মী নিয়োগ এবং বদলির ক্ষমতাও দেওয়া হচ্ছে জেলা পরিষদের হাতে। এ ছাড়াও চাষের সার, বীজ এবং কৃষি সরঞ্জাম কেনাকাটার ক্ষমতাও পাচ্ছে নির্বাচিত পঞ্চায়েত। এমনকী, কিষান ক্রেডিট কার্ড বিলি করা, শস্য বিমার সমস্ত কাজের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতাও থাকবে পঞ্চায়েতের হাতে। |
|
|
|
|
|