টুকরো খবর
বামেদের আলাদা করে পাশে চাইছে কংগ্রেস
নির্ধারিত সময়ে হলে লোকসভা ভোটের আর ঠিক দেড় বছর বাকি। তার আগে মমতা-হীন শাসক জোটের সঙ্গে বামেদের ফের সমঝোতার সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করল। বামেদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরাতেও তৎপর কংগ্রেস। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এক বর্ষীয়ান নেতা আজ জানান, বিজেপি-র মতো লাগাতার সংসদ অচল করে রাখার পক্ষে নন বামেরা। ফলে তেমন করতে গেলে বিজেপি-রই চাপে পড়ার সম্ভাবনা। আবার বিজেপি-র সঙ্গে এক সুরে সরকারকে কোণঠাসা করতে গেলে পরোক্ষে চাপে পড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিরোধী শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করার এই কৌশলে অন্যতম ভূমিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সংসদের অধিবেশনের আগে ইউপিএ-র শরিক নেতাদের আজ নৈশভোজে নিমন্ত্রণ করেন মনমোহন। তাঁর সচিবালয় সূত্রে বলা হচ্ছে, সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে এবং সংসদ সুষ্ঠু ভাবে চালাতে আগামী কালই লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি-সহ বিজেপি নেতাদের নৈশভোজে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই কারণে বাম নেতাদেরও শীঘ্রই আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। তবে বিজেপির থেকে খুব বেশি সহযোগিতা আশা করছেন না কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের বরং আশা, সংসদ সুষ্ঠু ভাবে চালিয়ে জমি অধিগ্রহণ বিলের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করায় বড় ভূমিকা নিতে পারেন বামেরা। কারণ তাঁরা এখনই লোকসভার ভোট চান না।

৫৫ লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা সপা-র
নির্ধারিত সময়ে লোকসভা ভোট হতে অন্তত আঠারো মাস বাকি থাকলেও আজ উত্তরপ্রদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ৫৫টিতে আজ অপ্রত্যাশিত ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে সপা নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী নির্বাচনের ইঙ্গিত দিলেও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষির রাস্তা খুলে রাখতেই মুলায়ম সিংহদের এই পদক্ষেপ। সপা সূত্রে খবর, ঘোষিত প্রার্থীদের ৩৮ জন নতুন মুখ। সপা শিবির এর আগে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র যথাক্রমে রায়বরেলী ও অমেঠিতে প্রার্থী না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু আজ দলের সাধারণ সম্পাদক রামগোপাল যাদব বলেছেন, “এখনও ২৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি। ওই দু’টি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দিচ্ছি না।” সাধারণত জাতীয় রাজনীতিতে বাম দলগুলি নির্বাচনের বেশ কিছু দিন আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে। সপা-ও সেই পথে হাঁটায় মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ কংগ্রেসকে চাপে রাখারই কৌশল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আসন্ন। তৃণমূল সমর্থন তুলে নেওয়ার পর সরকার বাঁচাতে সপা ও মায়াবতীর বিএসপি দুই দলকেই পাশে চাইছে কেন্দ্র। তবে মায়াবতীর সঙ্গে কংগ্রেসের সুসম্পর্ক রাখার নীতিকে সপা মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না।

পটনার ২২টি ঘাট বিপজ্জনক
এক দিকে দশেরা, অন্য দিকে দিওয়ালি, এই দুইয়ে মিলে পটনা ও সংলগ্ন এলাকার গঙ্গার ঘাটগুলির দশা এতটাই খারাপ যে স্থানীয় পুরসভা আবর্জনা তুলেও তা সামাল দিতে পারছে না। ইতিমধ্যে পুরসভা ৩০০ টন আবর্জনা তুললেও তা যে পর্যাপ্ত নয়, তা বোঝা গিয়েছে স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভেই। ছট পুজো উপলক্ষ্যে গঙ্গার ঘাটগুলি পরিষ্কার করতে স্থানীয় মানুষ রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করেছিলেন কয়েকদিন আগে। পাশাপাশি, আবর্জনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গঙ্গার ঘাটগুলির সংস্কারের অভাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কয়েকদিন আগে উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী ঘাটগুলি ঘুরে দেখেন। ছিলেন পুর কর্তারাও। ঠিক হয়, ছট পুজোয় পটনা, পটনা সিটি এবং দানাপুর--এই তিনটি মহকুমার ২২টি ঘাটকে ‘বিপজ্জনক’ ঘোষণা করা হবে। এই মর্মে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ছট পুজো নির্বিঘ্নে করার জন্য পটনায় গঙ্গার অন্য ঘাটগুলিতে শনিবার থেকে তদারকি শুরু হয়েছে। খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। ৩২টি মোটর চালিত নৌকো রাখা হচ্ছে ঘাটগুলির কাছে। কন্ট্রোল রুমে রাখা হচ্ছে প্রায় ৩০০টির মতো লাইফ জ্যাকেট। পটনার জেলাশাসক সঞ্জয় কুমার সিংহ বলেন, “এই বিপজ্জনক ঘাটগুলি পূণ্যার্থীদের ব্যবহারের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা নিয়ে আমরা প্রচারও চালাচ্ছি।”

লালু লাও, রেল বাঁচাও, বললেন পাক এমপি
রেলমন্ত্রী হিসাবে রাজ্যপাট গেছে কবেই! তাঁর পরে রেল ভবনে এসেছেন গুনে গুনে পাঁচ জন মন্ত্রী। কিন্তু রেলমন্ত্রী হিসাবে লালুপ্রসাদ যাদব যে কতটা জনপ্রিয় ছিলেন তা আজ ফের বুঝিয়ে দিল প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। সে দেশের রেলের হাল ফেরাতে লালুকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছে পাক পার্লামেন্টে। ইউপিএ সরকারের প্রথম দফায় রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেন লালু। রেলের দৈন্যদশা চলছে তখন। কিন্তু দায়িত্ব পেয়ে দেড় বছরের মধ্যেই লালু দাবি করেন, আয় বাড়ানোর বিভিন্ন পন্থায় রেলের দৈন্য দশা ঘুচেছে। আজ সে দেশের রেলের হাল-হকিকত নিয়ে পার্লামেন্টে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন পার্লামেন্টারি সচিব নোমান ইসলাম শেখ। হঠাৎই এম পি সাজিদ অহমেদ পরামর্শ দেন, লালু প্রসাদের দক্ষতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রেল। পাক সরকার রেল সামলাতে না পারলে ওই দায়িত্ব বরং ভারতের প্রাক্তন রেলমন্ত্রীকে দেওয়া হোক।

খাপলাংদেরও আলোচনায় ডাকছে কেন্দ্র
অবশেষে মনোভাব বদলাল কেন্দ্র ও এনএসসিএন (আইএম)। নাগাল্যান্ডে সর্বসম্মত ও স্থায়ী শান্তির স্বার্থে, অন্য নাগা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকেও শান্তি আলোচনার অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সাল থেকে কেবল একটি নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী, এনএসসিএন (আইএম)-এর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছিল ভারত সরকার। খাপলাংরা বারবার আলোচনায় আগ্রহ দেখালেও আইএম-এর আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। ২০১০ সাল থেকে শান্তি আলোচনা, শান্তি চুক্তির পথে পা বাড়ালেও বিভিন্ন উপজাতি হো হো ও বাকি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি নানা বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলতে থাকে। সব নাগা জঙ্গিদের দলে টানার জন্য আইএম সাধারণ সম্পাদক থুইংলেং মুইভাকে সময় দেয় কেন্দ্র। তিনি মৈত্রী সফরে বের হয়ে সব উপজাতি নেতা ও জঙ্গি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্র বুঝেছে, একটিমাত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে নাগাল্যান্ডে সার্বিক শান্তি আসবে না। তাই উদ্যোগী হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল শিন্ডে।

দু’টি ঘটনায় হত দুই যুবক
রাঁচিতে কাল রাতে দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচির পিঠোরিয়া থানা এলাকায়। দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে রাঁচি শহরের টুপুদানায়। দু’টি ক্ষেত্রেই খুন হয়েছেন দুই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, পিঠোরিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে মোবাইল ফোনের এক ব্যবসায়ীকে। তাঁর নাম সতীশ কুমার (৩৫)। রাতু রোড থেকে পিঠোরিয়ায় আসার পথে দুষ্কৃতীরা সতীশবাবুকে ঘিরে ধরে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘটেছে ওই হত্যাকাণ্ড। পাশাপাশি, রাঁচির টুপুদানায় কাল গভীর রাতে দ্বিতীয় খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। এখানেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এক যুবককে। আজ সকালে রাস্তার পাশ থেকে তার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বনধের ডাক
‘ভুয়ো সংঘর্ষে নিরীহ গ্রামবাসীদের হত্যা’র প্রতিবাদে ১৯ নভেম্বর অসম বন্ধের ডাক দিল পরেশপন্থী আলফা। আজ এক বিবৃতিতে পরেশপন্থী আলফার পক্ষে জানানো হয়, গত কাল মাজুলিতে আলফার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের যে খবর প্রচার করা হয়েছে তা মিথ্যা। সেখানে আলফার সশস্ত্র বাহিনীর কোনও সদস্যই উপস্থিত ছিল না। ১ জুলাইয়ের মতোই, গত কালও গো-পালকদের গুলি করে হত্যা করে সংঘর্ষের মিথ্যা খবর রটিয়েছে পুলিশ। আলফার দাবি, এর পিছনে স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের একাংশের হাত রয়েছে। প্রতিবাদে ১৯ নভেম্বর ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে আলফা।

বিডিও আত্মঘাতী
এক বিডিও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। আজ সকালে দ্বারভাঙার হনুমাননগর ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নন্দলাল মণ্ডল নামে ওই বিডিও-র টেবিলের উপরে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। তাতে তিনি লিখেছেন, পরিস্থিতির চাপে এই সিদ্ধান্ত। এর জন্য কেউ দায়ী নয়।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
বেড়াতে গিয়ে গাড়ি খাদে পড়ে মৃত্যু হল একটি বাঙালি পরিবারের তিন জনের। নাম চপল কান্তিধর চৌধুরী(৬২), লিপিকা চৌধুরী(৫৪) ও কুশল চৌধুরী(২২)। বৃহস্পতিবার রাতে চামোলি জেলার কাছে দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বিহারে খুন
বাড়ি ফেরার পথে খুন হলেন বিজয় রবিদাস নামের এক দলিত ব্যক্তি। বুধবার রাতে বিহারের কোঠারি বিগহ গ্রামে। কাল সকালে তাঁর দেহ মেলে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.