কার্ফু কবলিত কোকরাঝাড়ের পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সরকারি সূত্রের খবর, শুক্রবার বিষয়টি সম্বন্ধে জানার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকের শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে রাজ্য সরকারকে দুষ্কৃতী দমনে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানানো হয়, রাজ্য চাইলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা রক্ষী দিতেও প্রস্তুত কেন্দ্র। এনডিএফবি’র একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বামনগাঁওতে অজ্ঞাত পরিচয় তিন দুষ্কৃতীর গুলিতে এক মহিলা জখম হন। তাঁকে কোকরাঝাড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে জেলায়। এ দিন সকালে কার্ফু অমান্য করে বিপিএফ দলের নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক হেমেন্দ্র নাথ ব্রহ্ম মিছিল বের করলে পুলিশ তাঁকে দেড় শতাধিক সমর্থক সহ আটক করে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিন কোকরাঝাড় জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি জয়ন্ত নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সরকারের নির্দেশ মেনে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ৮৫টি স্থায়ী পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”
তিনি জানান, জেলায় ১০০টির উপরে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং দেশি আগ্নেয়াস্ত্র থাকার খবর মেলায় সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোকরাঝাড় সার্কিট হাউসে জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন ডিজি। প্রশাসনের কর্তারা জানান, স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা টহল দিচ্ছেন। গত দু’দিনে কোকরাঝাড়ের কচুগাঁও এবং গোসাইগাঁও এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে এক শিক্ষক-সহ ২ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা দু’টিতে যুক্ত অভিযোগে ৩৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। |