|
|
|
|
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষোভ |
সমুদ্রবিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পেল সংসদ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার রাজ্য উচ্চশিক্ষা সংসদ দাবি করল, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স বা সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। তাদের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ ওই বিভাগে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে পারেননি।
উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ শুক্রবার জানান, মেরিন সায়েন্স বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ এবং কেন্দ্রীয় সরকারি অনুদান খরচের ব্যাপারে অনিয়মের বেশ কিছু অভিযোগ সংসদের কাছে এসেছিল। তার ভিত্তিতে সংসদের কমিটি তদন্ত করে এবং তাতে অভিযোগের সত্যতাই প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে ছিলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয় দত্ত, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অমিতাভ রায়চৌধুরী এবং সংসদের সদস্য-সচিব সুব্রত ঘোষ। আগামী সপ্তাহে ওই তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জমা দেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানান, রিপোর্ট পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
ওই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ঠিক কী ধরনের অনিয়ম হয়েছে?
সংসদের চেয়ারম্যানের দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মেরিন সায়েন্স বিভাগে অনেক আবেদনকারীর আবেদন কার্যত গ্রাহ্যই করা হত না। এ ছাড়া মেরিন সায়েন্সের এক শিক্ষক টানা ১৬ বছর বিভাগের পিএইচডি কমিটির আহ্বায়ক থেকেছেন। পদ চলে যাওয়ার পরেও তিনি গবেষকদের পিএইচডি-র ফাইল নিজের কাছে রেখে দিতেন। কেন্দ্রীয় অনুদানও ওই শিক্ষক ঠিকঠাক ব্যবহার করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেননি কেন?
উপাচার্য সুরঞ্জনবাবু বলেন, “ওই শিক্ষক পিএইচডি-র ফাইল নিজের কাছে রেখে দেন বলে অভিযোগ পেয়েছিলাম। তখন রেজিস্ট্রার ওঁকে চিঠি লিখে সেগুলি ফেরত দিতে বলেন। তার পরে ওই শিক্ষক ফাইলগুলি ফেরত দেন।” তবে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তিনি পাননি বলে জানান সুরঞ্জনবাবু। উপাচার্য বলেন, “তদন্ত হবে বলে সংসদ জানিয়েছিল। এখনও সেই রিপোর্ট পাইনি। পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”
সংসদের এই তদন্ত নিয়ে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অসন্তোষ রয়েছে। এমনকী এই ব্যাপারে সংসদের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার এক কর্তা বলেন, “অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সব রকম ব্যবস্থা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরেই রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংসদের এই অতি-সক্রিয়তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। সংসদের সেই এক্তিয়ারও নেই।” |
|
|
|
|
|