ভারতে ওয়ালমার্টের লগ্নির পদ্ধতিগত ত্রুটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্র।
বিশ্বের বৃহত্তম খুচরো ব্যবসা বহুজাতিকটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতী এন্টারপ্রাইজেস-এর ইজিডে বিপণিতে ২০১০ সালে ১০ কোটি ডলার (৫৫০ কোটি টাকা) ঘুরপথে লগ্নি করেছিল তারা। কিন্তু তখন খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির দরজা খোলেনি। ফলে সেই হিসেবে সংস্থাটি লগ্নির ক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা) লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিআইয়ের এম পি অচ্যুতন। শুক্রবার এই বিষয়েই ওয়ালমার্টের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তদন্তকারী শাখা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অবশ্য গোড়া থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতী এবং ওয়ালমার্ট। |
পাইকারি ব্যবসায় ভারতে পা রাখতে বহু আগেই ভারতী গোষ্ঠীর সঙ্গে জোট বেঁধেছে ওয়ালমার্ট। সেই ভারতী-রই খুচরো বিপণি ইজিডে-তে ডিবেঞ্চার কিনে ১০ কোটি ডলার ঢেলেছিল মার্কিন সংস্থাটি। অভিযোগ হল, ওই ঋণপত্র শেয়ারে পরিবর্তনযোগ্য (কনভার্টেবল)। যার মাধ্যমে পরে ব্যবসায় ৪৯% অংশীদারি নেওয়ার পথ খোলা রেখেছিল ওয়ালমার্ট। ভারতে খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি ছাড়পত্র পাওয়ার আগে কী ভাবে তারা ওই লগ্নি করতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন অচ্যুতন।
ওয়ালমার্ট ও ভারতীর অবশ্য দাবি, সমস্ত নিয়মই মানা হয়েছে। তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য শুক্রবার জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ওয়ালমার্ট।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়তে পারে কেন্দ্র। কারণ, বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহেই সংসদে সরব হবে বিরোধী দলগুলি। তখন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করবে তারা।
সমস্যা বাড়বে ওয়ালমার্টেরও। কারণ মেক্সিকো, ব্রাজিল, চিন-সহ বিভিন্ন দেশে ব্যবসা বাড়াতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা নিজেরাই। এ ছাড়া, বেতন না-মেলা, খারাপ ব্যবহার ইত্যাদি কারণে খোদ আমেরিকায় প্রবল কর্মী-বিক্ষোভের মুখে পড়েছে তারা। |