|
|
|
|
আবোল তাবোলে মেতেছে কীর্ণাহারের কার্তিক |
অর্ঘ্য ঘোষ • কীর্ণাহার |
কোথাও ছবিতে খুড়োর কলের ছড়া। কোথাও বা কুমড়োপটাশ!
না, সুকুমার রায়ের কোনও চিত্র প্রদর্শনী নয়। তাঁর অনন্য সৃষ্টি ‘আবোল তাবোল’কে থিম করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে নানুরের কীর্ণাহার সর্বজনীন কার্তিক পুজো কমিটি। সাত থেকে সত্তর কেউ পাঠ্যপুস্তকের ছবিতে দেখা সেই ছোট্ট কুমড়োপটাশকে বিরাট আকারে দেখে হাসিতে লুটিয়ে পড়ছেন। কেউ বা হারিয়ে যাচ্ছেন নস্টালজিয়ায়।
কীর্ণাহার সর্বজনীন পুজো কমিটির এই পুজো এবার তৃতীয় বর্ষে পড়ল। প্রতি বছরই নিত্য নতুন থিমপুজো করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। গত বছরেই থিম ছিল বিশ্বকবির ‘সহজ পাঠ’। সহজপাঠের ছড়ায় ছবিতে ভরে উঠেছিল মণ্ডপ। বাহবা পেয়ছিল দর্শকের। এ বার সুকুমার রায়ের জন্মের ১২৫ তম বর্ষ উপলক্ষে থিম ‘আবোল তাবোলে সুকুমার’। |
কীর্ণাহারে কার্তিক পুজো। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
কার্ডবোর্ডে ‘আবোল তাবোলে’র ছবি এঁকেছেন পুজো কমিটিরই কুন্দন আচার্য। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন পুজোয় অন্য অনেক বিষয় নিয়ে থিম হলেও সুকুমার রায়কে নিয়ে চিন্তা ভাবনা খুব একটা দেখা যায় না। এ বছরই তাঁর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী। সেই সুযোগটাকেই আমরা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম!” আবোল তাবোলের ওই সব ছড়া-ছবির সামনে দাঁড়িয়ে হেসে প্রায় লুটোপুটি খাচ্ছেন অষ্টম শ্রেণির অনুপমা খান, দ্বিতীয় শ্রেণির সোহম মণ্ডলরা। তাদের উচ্ছ্বাস, “বইয়ের ছবিতেই কত মজা লাগে। এক্কেবারে চোখের সামনে এতো বড় কুমড়োপটাশ দেখে হাসি তো পাবেই!” ছবির সামনে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলেন ৭০ বছরের সুকুমার দাস, ৭৫ বছরের অধর সাধুরা। তাঁরা বলেন, “সেই কবে পড়েছি আবোল তাবোল। মণ্ডপে ছবি দেখে অনেক কথায় মনে পড়ে যাচ্ছে!”
এই পুজোই এলাকার একমাত্র কার্তিক পুজো। তাই তা নিয়ে এলাকার মানুষের উৎসাহের শেষ নেই। পুজো কমিটির আহ্বায়ক কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাপতি সুমন মণ্ডল, সম্পাদক বকুন মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “পুজো দেখতে এলাকার মানুষ প্রচুর ভিড় করেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই প্রতি বছর আকর্ষণীয় থিম করার চেষ্টা করি।”
আবোল তাবোলের সঙ্গেই এই পুজোর বাড়তে আকর্ষণ মণ্ডপের সামনে রাখা ‘ননীচোরা’ রাখালদের বিশেষ মূর্তি! |
|
|
|
|
|