|
|
|
|
জমি নেবে না সরকার, ফের বার্তা |
লোবা যা চায়, সে পথেই সুরাহার আশ্বাস মুকুলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর ও বোলপুর |
শিল্পসংস্থাকেই সরাসরি জমি কিনতে হবে প্রকল্পের জন্য, দুবরাজপুরের লোবায় এ ভাবেই আরও একবার রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় লোবার ধর্নামঞ্চে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দিলেন, এলাকার মানুষ যে ভাবে চান, সমস্যার সমাধান হবে সে পথেই।
বস্তুত, কৃষিজমি রক্ষা কমিটির দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সময় যে উদ্যোগ কখনও চোখে পড়েনি, ৬ নভেম্বর লোবায় পুলিশি অভিযানকে ঘিরে বিতর্কের পরে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ৯ তারিখ কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করেছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আন্দোলনকারী এবং ডিভিসি-এমটা’র মধ্যে আলোচনার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাসও দেন শিল্পমন্ত্রী। এ বার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বার্তা’ দিতে লোবায় এলেন মুকুলবাবু। |
|
লোবায় কৃষিজমি রক্ষা কমিটির ধর্নামঞ্চে মুকুল রায়। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত |
এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বোলপুর থেকে সরাসরি লোবায় আসেন মুকুলবাবু। তিনি প্রথমে ধর্নামঞ্চে বসেন। তখন কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতা আশিস মিশ্র বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। মুকুলবাবু তাঁর কাছ থেকে মাইক চেয়ে নিয়ে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যা চাইছেন, যে ভাবে চাইছেন, সে ভাবেই সমস্যার সমাধান হবে। নিশ্চিন্তে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। কমিটির নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সমস্ত ব্যাপারটা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেই অনুযায়ী আবার আপনাদের সঙ্গে এসে কথা বলব।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “যিনি ব্যবসা করবেন, তাঁকেই মানুষের সঙ্গে বসে সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। সরকার কারও হয়ে জমি অধিগ্রহণ করবে না।” তিনি আরও জানান, জমি অধিগ্রহণ আইন আটকে আছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না, কারও এক ছটাক জমিও জোর করে অধিগ্রহণ করা হোক।
এ দিন মুকুলবাবুর আসার খবর পৌঁছতেই কৃষিজমি রক্ষা কমিটির নেতারা গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেন, কেউ যেন তৃণমূল নেতার সঙ্গে কোনও রকম অভদ্রতা বা কটূক্তি না করেন। মুকুলবাবুর বক্তব্য শুনে অবশ্য উপস্থিত শ’দুয়েক গ্রামবাসী হাততালিই দিয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর এমটার মাটি কাটার যন্ত্র ছাড়ানোর জন্য পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি নজরেই ছিল না। জানার সঙ্গে সঙ্গে উনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। বীরভূমের পুলিশ সুপারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, লোবার মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি, কারও কাছ থেকে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। শিল্প ও কৃষি পাশাপাশি চলবে। শিল্প, কৃষি ও জমি নিয়ে সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। মুকুলবাবুর কথায়, “এখানে এসে বুঝতে পেরেছি, আলোচনা করেই সমস্যা মিটবে।” কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদারের প্রতিক্রিয়া, “ওঁরা যদি এসে এখানকার সমস্যার সমাধান করে দেন, তার থেকে ভাল কিছু হয় না।” |
|
|
|
|
|