বিকেল নামতেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল। অলি -গলিতে বসেছে মেলা। কার্তিক পুজোকে ঘিরে মেতে উঠল পূর্বস্থলীও।
প্রতি বছরই পূর্বস্থলীতে কার্তিক পুজোয় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। এ বারও একই চিত্র সেখানে। কাষ্ঠশালী, স্টেশন এলাকা, বৈদিকপাড়া, চুপি -সহ পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের নানা এলাকা মিলিয়ে মোট পুজোর সংখ্যা এ বার দেড়শো। স্টেশন লাগোয়া এলাকায় প্রায় পঞ্চাশ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ গড়েছে ভারতমাতা পুজো কমিটি। এই মণ্ডপের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে গ্রাম বাংলার আদলে মাঠ -ঘাট, বাঁশবাগানের চিত্র। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। |
কার্তিক পুজো হলেও অধিকাংশ মণ্ডপেই অন্য দেবদেবীর মূর্তির প্রাধান্য। কাষ্ঠশালী হরিনগরে রণচণ্ডী, ঘোষপাড়ায় কালী, থানার মাঠে রেনবো ইয়ুথ ক্লাবের মণ্ডপে ১৮ হাতের শিব, পলাশপুলির রামসীতা, সদগোবপাড়ায় রাম -রাবণের যুদ্ধ, হাসপাতাল মোড়ে হর -হরি, কৈবর্ত্যপাড়ায় মহিষমর্দিনী, স্টেশন বাজারে শ্মশানকালীর মতো নানা মণ্ডপে বিভিন্ন মূর্তি রয়েছে। জনশ্রুতি, নবদ্বীপের রাস উৎসবের অনুকরণেই বহু বছর আগে পূর্বস্থলীতে শুরু হয় কার্তিকের আরাধনা। বাসিন্দারা জানান, দেড় দশক আগে বিসর্জনে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা হত। এখন আর সে রেওয়াজ নেই। পুজো উপলক্ষে নিরাপত্তার নানা আয়োজন করেছে পুলিশ -প্রশাসন। বর্ধমান ছাড়াও নদিয়া ও হুগলি থেকে বহু মানুষ আসেন। পুলিশ জানায়, ভিড়ের মধ্যে অপরাধ রুখতে কাষ্ঠশালী থেকে পূর্বস্থলী স্টেশন বাজার পর্যন্ত পুলিশের সাতটি ক্যাম্প করা হয়েছে। রয়েছে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। নজরদারিতে আছে সাদা পোশাকের পুলিশও। ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে রাখা হয়েছে জলের বড় ট্যাঙ্কার ও অস্থায়ী শৌচাগার। উৎসব চলবে রবিবার রাত পর্যন্ত। পূর্বস্থলীর (উত্তর ) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দর্শনার্থীরা যাতে তাঁরা ভাল ভাবে পুজো দেখতে পারেন সে জন্য প্রশাসন নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।” |