বাড়ি থেকে চলে আসা আসানসোলের জয়তা তাবসুম নামের তিন বছরের শিশুকে ট্রেন থেকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আদ্রার জিআরপির কর্মীরা। সোমবারের ঘটনা। তবে কী ভাবে তিন বছরের ওই মেয়েটি আসানসোল থেকে ট্রেনে একা আদ্রা পর্যন্ত চলে এসেছিল সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি শিশুটির পরিবার ও জিআরপি।
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ আদ্রা স্টেশনে আসানসোল-আদ্রা প্যাসেঞ্জারে একা ওই শিশুটিকে দেখতে পেয়েছিলেন স্টেশনে কর্মরত জিআরপির কর্মীরা। সন্দেহ হওয়ায় যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে জানা যায় প্রথম থেকেই একা রয়েছে শিশুটি। জিআরপির আদ্রা থানার ওসি জিতেন্দ্রনাথ খাটুয়া জানান, শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু বাড়ির বিষয়ে প্রশ্ন করলেই সে কাঁদছিল। অবশ্য কিছু সময় পরে জিআরপির কর্মীদের সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল জয়তা। ওসি বলেন, “বাড়ির ঠিকানা জানাতে না পারলেও সে আসানসোল ও গোধুলি কথা দু’টি বারেবারেই বলছিল। তখন স্টেশনে উপস্থিত কিছু নিত্যযাত্রীদের আসানসোলের গোধুলি এলাকা সম্পর্কে প্রশ্ন করে কর্মীরা জানতে পারেন গোধুলি নামে সিনেমা হল রয়েছে আসানসোলে এবং এক নিত্যযাত্রী রেলপুলিশকে জানিয়েছিলেন গোধুলি সিনেমা হল এলাকায় তার আত্মীয় বাড়ি রয়েছে।” |
জিতেন্দ্রনাথবাবু জানান, ওই যাত্রীর আত্মীয়কে ফোন করে তাঁকে ওই এলাকা থেকে কোনও বাচ্চা মেয়ে নিঁখোজ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। সেই মাধ্যমেই শিশুটির পরিবারের খোঁজ পাওয়া যায়।
দুপুরে মেয়েকে নিতে আদ্রা এসেছিলেন বাবা খারিদউদ্দিন ও মা গুলানাজা তাবসুম। পেশায় খেলনা বিক্রেতা খারিদউদ্দিন বলেন, “গোধুলি সিনেমা হল এলাকায় বাড়ই। দুই সন্তানের মধ্যে বড় জয়তা। একই পাড়াতে তার শ্বশুরবাড়ি। প্রায় প্রতিদিনই মেয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে দাদুর বাড়ি চলে যায়। এদিনও মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলেন দাদুর বাড়ি চলে গিয়েছে। কিন্তু বাড়িতে ফিরছে না দেখে খোঁজ করেও পাইনি। এর মধ্যেই আদ্রা জিআরপি থেকে ফোনে ঘটনাটি জানানোর পরে অপেক্ষা না করে দ্রুত আদ্রা আসি।” কেউ শিশুটিকে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে চলে এসেছিল কি না সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলা জানিয়েছে রেলপুলিশ। |