জেলা সদরের একটি নার্সিংহোমে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে হামলা চালানোয় অভিযুক্ত বিতর্কিত নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা-র দাবি, “রবিবার রাতেই সিউড়ির এসপি মোড় থেকে অভিযুক্ত আশিস দে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজা চৌধুরী নামে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রাজা চৌধুরী বছর খানেক আগে কলকাতায় জাল নোট-সহ ধরা পড়েছিল। শুক্রবারের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবশ্য এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় অবশ্য আশিসবাবু দাবি করেন, “পুরোটাই সিউড়ির বিধায়ক স্বপন ঘোষের চক্রান্ত।” তা নিয়ে স্বপনবাবু বলেন, “আশিসবাবুর মতো লোকের কথার জবাব দিতে আমার রুচিতে বাধে।” এ দিন অভিযুক্তদের সিউড়ি এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ধৃতদের পাঁচদিন পুলিশি হেপাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে চিকিৎসক-কর্মীদের উপরে আশিসবাবু চড়াও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল নার্সিহোম কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবারের ওই ঘটনার দৃশ্য নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছিল। ঘটনার দায় অস্বীকার করতে গিয়ে প্রকাশ্যে এসে পড়ে বীরভূমে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আশিসবাবু দলের কেউ নন বলে দাবি করলেও সরাসরিই ক্ষোভ প্রকাশ করে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেছিলেন, “তিনি দলের নাম ভাঙিয়ে নানা রকম অপকর্ম করেন।” অন্য দিকে, বিধায়ক স্বপন ঘোষ দলের সভাপতির দিকেই আঙুল তুলে বলেছিলেন, “আশিসবাবু জেলা সভাপতির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। প্রায় সর্বত্রই তিনি অনুব্রতবাবুর সঙ্গেই ঘোরেন। দলের বিভিন্ন মিটিং মিছিলেও তাঁকে দেখা যায়।”
এ দিকে, সিউড়ির ওই নার্সিংহোমের কর্মীদের ভয় এখনও কাটছে না। যে কর্মীর মাথায় আশিসবাবু আগ্নেয়াস্ত্র ধরেছিলেন বলে অভিযোগ সেই স্বপনেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই রাতের ঘটনার কথা মনে করলে এখনও আতঙ্ক হচ্ছে।” অন্য দিকে, এ দিন লোবায় আশিস দে-র ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দীপা দাশমুন্সি বলেন, “শুধু সিউড়ি নয়, গোটা রাজ্যেই এক চিত্র।” |