সাতদিন ধরে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ায় বিপাকে ৭০টি পরিবার। বহু বার বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের আবেদন নিবেদন করেও ফল না মেলায় ৫ ঘণ্টা ধরে ভুটানের সামচি থেকে বানারহাট যাতায়াতের রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের ধূপগুড়ি ব্লকের বানারহাট থানা এলাকার ভুটান লাগোয়া চামুর্চি গ্রামে। সকাল ৮টা থেকে শতাধিক বাসিন্দা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অবরোধে ভারত-ভুটানের যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু যাত্রী ও মালবাহী গাড়ি আটকে পড়ে। নাজেহাল হতে হয় চালক ও যাত্রীদের। দুই দফতরের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ ধূপগুড়ির সিপিএম বিধায়ক মমতা রায়। বিধায়কের কথায়, “বিদ্যুৎ ও জল বিহীন ওই গ্রামে কী নিদারুণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে বিকল হওয়া ট্রান্সফর্মার ও জলের পাম্প মেরামতি করা প্রয়োজন ছিল। তা হয়নি। নিরুপায় হয়ে বাসিন্দারা পথে নামেন।” বাসিন্দারা জানান, ভুটান পাহাড়ের পাদদেশের ওই এলাকায় মাটি থেকে ৩৫০ ফুট নিচে জল মেলে। বাসিন্দারা তাই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সরবরাহ করা পানীয় জলের উপর নির্ভর করে থাকেন। তিনটি পাম্পের মধ্যে গত এক সপ্তাহ ধরে একটি পাম্প বিকল হয়ে পড়াতে জল সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। অন্য দুটি পাম্প চালিয়েও জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে আশেপাশের চা বাগান ও ভুটানে গিয়ে বাসিন্দাদের জল নিয়ে আসতে হচ্ছে। এক সপ্তাহ চামূচির্র্র্ বাজারের একটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে পড়ায় সন্ধ্যা নামলে বাজার অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা রেজাউল করিম এবং শরিফ খান ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এক সপ্তাহ ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ ও জল ছাড়া রয়েছি। দুই দফতর থেকে আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনি। প্রশাসনের তরফে দ্রুত জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করার আশ্বাস দিলে বেলা ১টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ির জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার সুজিত মণ্ডল বলেন, “পাম্প মেরামতির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল ম্যানেজার মৃগাঙ্কমৌলি দে বলেন, “ট্রান্সফর্মার পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সোমবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে।” |