এডে চিডিকে ম্যাচের সেরা বেছেছেন নির্বাচকরা। চিডি নিজে অবশ্য সেই কৃতিত্ব দিতে চান টিমের গোলকিপার অভিজিৎ মণ্ডলকেই। সোমবার ম্যাচের পর তাঁর মন্তব্য, “অভিজিৎ গোলগুলো না বাঁচালে আমার গোলটাই তো কাজে আসত না। অসাধারণ খেলেছে। ওই আজকের ম্যান অব দ্য ম্যাচ।”
চিডি যখন লাল-হলুদ কিপারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তখন সার্ভে পার্কে নিজের ফ্ল্যাটে বসে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অভিজিৎ। তাঁর আশঙ্কা একুশ দিন মাঠের বাইরে বসে থাকতে হবে তাঁকে। “আগে দু’বার বাঁ হাতের কনুইয়ের ওই একই জায়গায় লেগেছিল। তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল। এ বারও মনে হচ্ছে সে রকমই কিছু হয়েছে। কাল এম আর আই করাব। তারপর সব কিছু বোঝা যাবে।” অভিজিৎ যদি সত্যিই মাঠের বাইরে চলে যান তা হলে অবশ্য শিরে সংক্রান্তি গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্যের। এ দিনই শহরে এসেছে ডেম্পো। আর্মান্দো কোলাসোর দলের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ মর্গ্যানের টিমের। শনিবার। পরের দু’সপ্তাহে খেলা এয়ার ইন্ডিয়া, চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু লাল-হলুদ গোলকিপার কোচের হাতে তো গুরপ্রীত সিংহের পর দ্বিতীয় গোলকিপার বলতে প্রিয়ান্ত সিংহ। কারণ, জয়ন্ত পালেরও চোট।
এদিকে, ওডাফা, টোলগেদের মতো কলকাতায় এখনও সে ভাবে প্রচারের আলো পাননি চিডি। ডার্বিতে বিরল হ্যাটট্রিকের মালিকের তাতে দুঃখ নেই। গোল করার জন্য ক্ষুধার্ত চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় ছিলেন নাইজিরিয়ান স্ট্রাইকার। বলছিলেন, “এই গোলটায় আজ তিন পয়েন্ট এলেও যে জীবনের সেরা গোল তা নয়। তবে এ দিনের অনুভূতিটা আমার কাছে একেবারে আলাদা। কারণ আই লিগে এটা আমার প্রথম গোল। তাই এই গোলটা আমি স্ত্রীকে উৎসর্গ করলাম।”
চিডি অবশ্য অন্য স্ট্রাইকারদের মতোই মনে করেন, প্রতিটি ম্যাচই চ্যালেঞ্জের। বুধবার বি এন আরের বিরুদ্ধে ভেস্তে যাওয়া কলকাতা লিগের ম্যাচ খেলতে নামবে মর্গ্যানের দল। লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ অবশ্য এ দিন যা ইঙ্গিত দিলেন তাতে রেলের বিরুদ্ধে চিডিদের নামাবেন না। রাখবেন রিজার্ভ বেঞ্চে। |