এখন বুঝতে পারছি ক্রিকেট ভাষ্যকারদের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেলে তাদের কেমন অনুভূতি হয়! সিডনি সিক্সার্সকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন বলার পর সেটা মিলে যাওয়ায় খুব অল্প সময়ের জন্য আমারও নিজেকে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বলে মনে হচ্ছিল। ফাইনালটাকে আগাগোড়া শাসন করে ওরা মেজাজের সঙ্গে ট্রফিটা জিতল। ওয়ান্ডারার্সের উইকেটকে খুব ভাল ব্যাটিং স্ট্রিপ দেখাল। সে জন্য আগে ব্যাট করে লায়ন্সের সাত ওভারে ৩২-৫ স্কোরে হামাগুড়ি খাওয়াটা আরওই অবাক করেছে। দিল্লি, ভারত কিংবা কেকেআরের হয়ে আমি অনেক ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছি, যেগুলোতে আমার দলে স্পিনাররা ছিল। স্পিন বোলিং কাজে লাগলে সেটা খুব ভাল ব্যাপার, কিন্তু তার জন্য অধিনায়ক এবং বোলার দু’জনকেই সাহসী হতে হয়। আমার মনে হয়, রবিবাসরীয় রাতে সিক্সার্সে সেটা বিশাল পরিমাণে ছিল। যখন ওদের স্টিভ ও’কিফ আর নাথান ম্যাকালাম বল করা শুরু করেছিল। কিছু নিয়মের কখনও মৃত্যু নেই। সে কারণে ব্র্যাড হাডিন নিশ্চয়ই দেখে আনন্দ পেয়েছে, যখন অফস্পিনার ম্যাকালাম বাঁহাতি গুলাম বোদি-কে ঠকিয়ে আউট করল। কিংবা বাঁ-হাতি ও’কিফের বলে ডানহাতি আলভিরো পিটারসেন ফিরে গেল।
জেতার টার্গেট হিসেবে ২০ ওভারে ১২১ তেমন কিছু নয়। স্রেফ একটা ৩০-৪০ রানের পার্টনারশিপের ব্যাপার। তাতেই এক-তৃতীয়াংশ পথ পেরনো যায়। সেখানে মাইকেল লাম্ব আরও অনেক বেশি কাজ করে দিল। ফাইনালে ওর ব্যাটিং দুধর্র্র্ষ। কোনও কোনও সময় ম্যাথু হেডেনকে মনে পড়িয়ে দিচ্ছিল। ক্রিজের অন্য প্রান্তে আমার বন্ধু হাডিনও স্পেশ্যাল ছিল। শুনলাম ও ভাঙা হাত নিয়ে ম্যাচটা খেলেছে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কাজটা প্রচণ্ড কঠিন, বিশেষ করে সে যদি উইকেটকিপার হয়। আমার খেলাটার এই ব্যাপারটা আমি ভীষণ ভালবাসি যে কোনও কিছুর বিনিময়ে সফল হওয়ার তীব্র খিদে। এখানেও আমি নিশ্চিত, দিনের শেষে বেগুনি জার্সির জয় দেখার চেয়ে আর কিছু ভাল হওয়ার ছিল না হাডিনের পক্ষে। ওয়েল ডান! |