|
|
|
|
প্রশ্ন সহযোগীদেরও |
রদবদল নিয়ে সরব হলেন বিরোধীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মন্ত্রিসভা রদবদলের চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিরোধী ও সহযোগীদের আক্রমণের মুখে পড়ল মনমোহন সিংহ সরকার। বিজেপি থেকে অণ্ণা হজারে, মুলায়ম থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল- একযোগে সরকারের মুখ বদল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করল।
সভাপতি নিতিন গডকড়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার আগে সাত-পাঁচ ভাবছে বিজেপি। তাই কৌশল বদলে এখন মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়েই প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল।
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যেই আজ হিমাচলে প্রচারে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি সরাসরি মনমোহন সিংহ ও সনিয়া গাঁধীকে আক্রমণ করেন। বলেন, যাবতীয় অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য মন্ত্রিসভার রদবদল করা হয়েছে।
প্রভাবশালী কর্পোরেট দুনিয়ার কাছে নতিস্বীকার করে জয়পাল রেড্ডিকে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে সরিয়ে দশ জনপথের ‘ইয়েস ম্যান’ বীরাপ্পা মইলিকে সে পদে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি ও কেজরিওয়ালদের। রেড্ডির রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে এই নিয়ে প্রতিবাদও শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রক বদল নিয়ে রেড্ডি যে অসন্তুষ্ট, সে কথা অস্বীকার করছে না কংগ্রেস শিবিরও। অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সলমন খুরশিদের কেন পদোন্নতি হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি ও সমাজবাদী পার্টি।
বিরোধীরা অভিযোগ তুলছেন নতুন সংখ্যালঘু মন্ত্রী কে রহমান খানকে নিয়েও। রাজস্ব ক্ষতি করে কর্নাটকে ওয়াকফ বোর্ডের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই নিয়েও আজ বিরোধীরা সরব হয়। কিন্তু রহমান খান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগই নেই।”
সিপিএম ও বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সাংসদ ও রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নিয়েও সরব হয়েছে। সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, অধীরের বিরুদ্ধে মামলা এখনও চলছে। অধীর জবাবে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও মামলা সত্য প্রমাণিত হয় বা যদি মামলা বকেয়া থাকে, আমি তাহলে মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেব।” |
|
|
|
|
|