|
|
|
|
মমতাকে বিঁধতে শ্বেতপত্রের ভাবনা |
রেল ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত নয়া রেলমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দায়িত্ব নিয়েই ভাড়া বাড়ানোর ইঙ্গিত দিলেন নতুন রেলমন্ত্রী পবন বনশল।
রেলমন্ত্রীর যুক্তি, রেলে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভাড়া বাড়ানোকে তিনি সমর্থন করেন। আগামিকাল রেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বনশল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সবিস্তার আলোচনা করবেন। বনশলের কথায়, “দিল্লি থেকে চণ্ডীগঢ় শতাব্দী এক্সপ্রেসে গেছি। অনেক সহযাত্রীই বললেন, রেলে আরও উন্নত পরিষেবার জন্য বাড়তি ভাড়া দিতে আপত্তি নেই।” রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও ভাড়া পুনর্বিন্যাসের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
রেল নিয়ে সরাসরি মমতাকে আক্রমণের পথেও হাঁটছে কংগ্রেস। মমতার আমলে রেলের অবস্থা দেশবাসীকে জানাতে শ্বেতপত্র আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আজ রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, মমতার আমলে রাজ্যের জন্য ঘোষিত বড় মাপের রেল প্রকল্পগুলির প্রকৃত অবস্থা জানানো হবে ওই শ্বেতপত্রে। রেলের আর্থিক বেহাল দশার জন্য যে মূলত তৃণমূলই দায়ী তাও ওই শ্বেতপত্রে তুলে ধরতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
তৃণমূল সমর্থন তুলে নেওয়ার পর যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া রেলের সংস্কারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। কমিশনের নির্দেশে ‘রেল ট্যারিফ রেগুলেটরি অথরিটিও’ গঠন করা হয়েছে। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই রেলের ভাড়ার পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে।
রেলের ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে তৎপরতা শুরু হতেই বিরোধী শিবিরের আক্রমণও শুরু হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন আজ বলেন, “তৃণমূল যত দিন রেলের দায়িত্বে ছিল, তত দিন ভাড়া বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এ বার কংগ্রেসের মুখোশ খুলে গিয়েছে।” তিনি আরও জানান, জিনিপত্রের দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। তার উপর রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি তুলে দেওয়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য সরকার মন্ত্রিসভার রদবদল করছে বটে, কিন্তু আবার নিজেদের অভীষ্ট লক্ষ্য চরিতার্থ করতে তারা ময়দানে নেমে পড়েছে।
এখনই ভাড়ার হেরফের না হলেও পরের বাজেটে সব শ্রেণিতেই ভাড়া বাড়তে পারে। |
|
|
|
|
|