|
|
|
|
|
স্মৃতি দিয়ে ওয়ার্ডরোব ভরাবেন না |
আলমারির দরজা সামান্য ফাঁক করলেই একরাশ পোশাক ঝাঁপিয়ে পড়ছে
আপনার ঘাড়ে?
সদ্য কেনা লহেঙ্গা চালান করতে হয়েছে জুতোর বাক্সের আড়ালে?
অবস্থা সঙ্গিন। কড়া দাওয়াই চাই। জেনে নিন। |
কেনাকাটা প্রায় সেরে ফেলেছেন তো? কিন্তু নতুন কেনা জিনিসগুলো ঢোকালেন কোথায়? পুজোর জন্য তো আর রাতারাতি আপনার ওয়ার্ডরোবের খানকয়েক তাক গজাবে না! উপায়? ভাবছেন দেওয়ালজোড়া স্টোরেজ থাকতে জায়গা নিয়ে চিন্তা কী? কিংবা, আলমারিতে না ধরুক, বাড়ির সুটকেসগুলোতেই না হয় এই ক’টা দিনের জন্য নতুন জিনিসের ঠাঁই হবে। কিন্তু এই ভাবে ঠেসেঠুসে রাখতে গিয়ে যে নতুন কেনা চান্দেরিটার ভাঁজ গিয়েছে খুলে আর নতুন-পুরনো অ্যাকসেসরি মিলেমিশে বেশ একখানা খিচুড়ি অবস্থা হয়ে আছে, তার কী হবে! এর জন্যই দরকার ওয়ার্ডরোব ম্যানেজমেন্ট।
|
কাকে ফেলবেন কাকে রাখবেন |
ওয়ার্ডরোব গোছাতে বসে প্রত্যেকটা তাক খালি করে প্রথমেই দেখে নিন কী কী একেবারে ফেলে দেওয়া যায়। ফেলে দিতে গিয়ে আবার অনেক সময় কোনটা ফেলা উচিত, আর কোনটা রাখা উচিত বোঝা যায় না।
তা হলে বাতিল করবেন কী দেখে?
১) স্কুল বা কলেজজীবনের পরীক্ষায় পরে যাওয়ার জন্য পয়া জামা যত্ন করে তোলা আছে। অথচ এ জীবনে আর স্কুল-কলেজের পরীক্ষা দিতে হবে না। ফেলে দিন।
২) এক যুগ আগে আপনার যখন ছিপছিপে শরীর ছিল, তখন এই পোশাক ভাল লাগত। কবে ফের রোগা হবেন, তার জন্য রাখা আছে। গুডবাই বলুন।
৩) আউট অব ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে? রাখবেন না।
৪) ছোট্টবেলার অ্যাকসেসরি, এখন মোটেই মানাচ্ছে না। বাড়ির খুদে সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিন।
এ বার একটা বড় বক্স নিয়ে বাতিল জিনিসগুলো পুরে ফেলুন। তবে পুরনো সুতির শাড়ি, সুতির দোপাট্টা ফেলে দেবেন না। এগুলো দিয়ে দামি জিনিস জড়িয়ে রাখতে পারেন। তাকের ওপর এই নরম কাপড় পেতে দামি জামাকাপড়ও রাখা যায়। এ বার যেগুলো পুজোর মাসটায় ব্যবহার হবে না, সেগুলোকে আলাদা করে অন্য কোনও জায়গায় সরিয়ে দিন।
|
বাড়তি আপহোলস্ট্রি |
মাস্টার বেডরুম স্টোরেজ-এই অনেক সময় আমরা অতিরিক্ত বেডকভার, বেডশিট, পিলো বা কুশন কভার, এমনকী শীতের কম্বলও রেখে দিই। ফলে জামাকাপড় রাখার জায়গা যায় কমে। স্টোরেজ-এর জায়গায় টান পড়লে আপাতত যে ঘর পুজোর ক’দিন একটু কম ব্যবহার হবে (যেমন, স্টাডি রুম) সেখানকার কোনও স্টোরেজ-এ চালান করতে পারেন। কম্বলের কেস সরিয়ে পুরনো বেডকভার বা শাড়ি মুড়ে রাখলে বেশি জায়গা নেবে না। অথবা, একটু শক্তপোক্ত প্যাকিং কেস-এ অতিরিক্ত আপহোলস্ট্রি রাখুন। এক কোণে রেখে ওপরে সুতির দোপাট্টা বা পুরনো পর্দার টুকরো পেতে তার ওপর দু-চারটে শোপিস সাজিয়ে দিতে পারেন। দেখতেও মন্দ হবে না, ধপ করে কেউ বসেও পড়বে না।
|
গরম পোশাক নাগালের বাইরে |
পুজোর পরেই কোনও ঠান্ডার জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে? তা হলে তার জন্য প্রয়োজনীয় সোয়েটার বা চাদর ক’খানা হাতের কাছে রেখে বাকি সব গরম জামা নরম কাপড় আর ন্যাপথলিন বল দিয়ে মুড়ে একেবারে ওপরের তাকে তুলে রাখুন।
|
ভাগ করে নিন |
|
আপনার কেনা পোশাকগুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ফেলুন। যেমন, শাড়ি, কুর্তি, টপ আর ডেনিম এবং অন্যান্য (স্কার্ট, লহেঙ্গা, ওয়েস্টার্ন ড্রেস ইত্যাদি)। এ বার ঝপ ঝপ করে বিভাগ অনুযায়ী সাজিয়ে ফেলুন। শাড়ির সঙ্গেই থাকবে ম্যাচিং ব্লাউজ আর সায়া। কুর্তির সঙ্গে থাকবে মানানসই লেগিংস, চুড়িদার, পাতিয়ালা। যদি একটি লেগিংস দিয়ে দুটো কুর্তি পরা যায়, তা হলে দুটোর মাঝখানে লেগিংসটা রেখে দিন। ব্লাউজ বা লেগিংস কেনা বাকি থাকলে, সেই শাড়ি বা কুর্তি সবার ওপর রাখুন। একই ভাবে ছেলেদের ওয়ার্ডরোবও ক্যাজুয়াল, ফর্মাল-এ ভাগ করে নিতে পারেন।
|
অ্যাকসেসরি’র রকমভেদ |
গয়নাগাটি যা কিনেছেন, তাকেও দু’ভাগ করে নিন। এথনিক সাজের সঙ্গে এক রকম আর পশ্চিমি সাজের জন্য অন্য রকম। শাড়ি বা কুর্তির সঙ্গে যা পরা যেতে পারে, তাদের একটা বক্স-এ পুরে সেই তাকের এক পাশে রেখে দিন। একই ভাবে ওয়েস্টার্ন-এর সঙ্গে পরার অ্যাকসেসরি অন্য বক্স-এ পুরে সেই তাকে রাখুন। এতে খুঁজতে সময় অনেক কম খরচ হবে।
|
ঠিকঠাক সাজিয়ে নিন |
টপ বা শার্ট ঝোলানোর সময় স্লিভ এবং দৈর্ঘ্য অনুযায়ী রাখবেন। অর্থাৎ, পুরো হাতা লম্বা ঝুলের জামা এক ধারে, তার পর কম ঝুল এবং শর্ট স্লিভড। স্লিভলেস থাকবে সারির শেষে। ভাল হয় যদি রং অনুযায়ী সাজাতে পারেন। হালকা রঙের পোশাক থেকে শুরু করে গাঢ় পোশাক বা মাঝে হালকা আর দু’দিকে গাঢ়, এই ভাবে একটা প্যাটার্ন মেনে সাজালে দেখতে পরিচ্ছন্ন লাগে। যদি পারেন হ্যাঙারগুলোও একই রকম রাখার চেষ্টা করুন। হয় কাঠের, নয়তো স্টিলের বা প্লাস্টিকের। এক সঙ্গে মেশালে দেখতে ভাল লাগে না। তাকে রাখার সময় ভারী পোশাক সব সময় নীচে রাখবেন, হালকা ওপরে। ঢাকাইয়ের ওপর ভারী কাঞ্জিভরম সাজিয়ে রাখলে ঢাকাইটির নাভিশ্বাস উঠতে সময় তো লাগবেই না, ভাঁজে ভাঁজে ছিঁড়েও যেতে পারে। |
|
|
|
|
|