নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বাম কাউন্সিলরা মেয়রকে একটি স্মারকলিপি দেন। নুরুলবাবু জানান, পুর পরিষেবা স্বাভাবিক না হলে আগামীতে নাগরিক কনভেনশন করে আন্দোলনে যাবেন তাঁরা। শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “বামেদের অভিযোগ একটিও ঠিক নয়। নেহাতই বিরোধিতার জন্য তাঁরা ওই কথা বলছেন। পানীয় জলের সমস্যা বাম আমলেও তৈরি হয়। তাঁরা যে পানীয় জলের প্রকল্প করেছিলেন তা পরিকল্পনা করে হয়নি। তার জেরেই সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত ওই সমস্যা কাটাতে পারব বলে আশা করছি। এ ছাড়া দুর্নীতির অভিযোগও ঠিক নয়। ভাতা সবাই পাচ্ছেন। বামেদের সময় ৫০০ জনকে ভাতা দেওয়া হয়। আমরা তাঁর দ্বিগুণ মানুষকে ভাতা দিচ্ছি।” এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ পুরসভার গেটের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থানে বসেন বাম কাউন্সিলররা। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, ডেঙ্গি রোধে মশা মারার জন্য যে তেল দেওয়া হচ্ছে তা ঠিক নেই। তাতে মশা কমছে না। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ ওই অভিযোগে মশারির ভিতরে ঢুকে মেয়রের অফিসের সামনে চলে যান। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলক কমল অগ্রবালের অভিযোগ, পুরসভার প্রায় প্রত্যেকটা রাস্তার হাল খুব খারাপ। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার হাল খারাপ হলেও তা সংস্কারে হাত দেওয়া হচ্ছে না।” ২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর মুকুল সেনগুপ্ত শহরের বিভিন্ন আবর্জনা পরিষ্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “সর্বত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গৌতম দেব এই বোর্ডের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন বলে কটাক্ষ করেন মুকুলবাবু। সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। সে কারণে তিনি পুরসভার মেয়রকে দাবি করেন। মেয়র দাবি করেন, “পুরসভায় খুব ভাল কাজ হচ্ছে এটা বলব না। তবে ভাল কাজ হচ্ছে। বামেদের তুলনায় অনেক ভাল।” এ ছাড়া বিপিএল কার্ড প্রদান, জমির পাট্টা, বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে বাসিন্দাদের ঘর তৈরির টাকা সহ ২২ দফা দাবিতে এদিন মেয়রকে স্মারকলিপি দেন বাম কাউন্সিলররা। মঙ্গলবার বাম পুর কর্মচারিদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। তাঁরা অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করা সহ একাধিক দাবি করেন। |