টুকরো খবর
জোট ভাঙতেই ‘কাজিয়া’ শুরু হয়েছে কোচবিহারে
জোট ভাঙতেই বেহাল রাস্তা সংস্কারে দাবিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল তৃণমূল কংগ্রেস ও কংগ্রেস প্রভাবিত শাখা সংগঠনের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের বেহাল দশা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে কোচবিহারের রাজারহাট চৌপথি ও ঝিনাইডাঙা চৌপথিতে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল শাখা সংগঠনের সদস্যরা। এতে দিনভর কোচবিহার-বক্সিরহাট রুটের নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঘন্টাখানেক দুর্ভোগের মুখে পড়েন কোচবিহার-শিলিগুড়ি রুটের নিত্যযাত্রীরাও। একই ভাবে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের আওতাধীন কোচবিহার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তার বেহাল দশা ঘোচানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দফতরের সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। দুই দলের এই একে অপরের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘিরে জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের অবরোধ করার অধিকার নেই। একটাই জাতীয় সড়ক খারাপ অথচ রাজ্য পূর্ত দফতরের নিয়ন্ত্রিত জেলার সব রাস্তাই বেহাল। ওঁদের আগে জেলার ওই সমস্ত রাস্তা সারিয়ে তার পরে ওঁদের অন্য কথা বলে সাজে।” ছাত্র পরিষদ নেতা রাকেশ চৌধুরী, অরিন্দম দে কর্মসূচিতে অংশ নেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ পাল্টা বলেন, “জাতীয় সড়কের অবস্থা মরণফাঁদের চেয়ে খারাপ হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি প্রতিদিন খারাপ হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার ওই রাস্তা মেরামতে ব্যর্থ। কংগ্রেসের নেতাদের চোখে ছানি পড়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার করছেন কংগ্রেস নেতারা।”

গুলিতে খুন ট্রেনযাত্রীকে
সহযাত্রীদের সামনেই ট্রেনের মধ্যে এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মালদহ লাগোয়া বিহারে যোগবাণী-কলকাতা এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম কে ছাগর (৪০)। ওই ট্রেনটির ৫ নম্বর সংরক্ষিত কামরায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। ট্রেনটি কাটিহার স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৫-২৫ মিনিট নাগাদ ছাড়ে। দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৫-৬ জন ছিল। কাটিহার থেকেই তারা ট্রেনে ওঠে। গুলি করার আগে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের একটি ব্যাগ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় বলে কামরার অন্য যাত্রীরা রেল পুলিশকে জানিয়েছেন। তার পরে দুষ্কৃতীরা নিহতকে লক্ষ করে দুটি গুলি চালায়। পরে রাত দশটা নাগাদ ট্রেন মালদহে ঢুকলে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।

শিশু ধর্ষণে বাম-ক্ষোভ
শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না-পারায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধছে বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ তপন থানা এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ। শিশুটি দোকানে লজেন্স কিনতে গেলে তাকে মুদি দোকানি ধর্ষণ করে পালায় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত কিশোর একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাটে আরএসপির নিখিলবঙ্গ মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। গঙ্গারামপুরে বাম মহিলা সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এদিন অসুস্থ ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে সান্ত্বনা দেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক মাফুজা খাতুন।

বিডিওকে ৯ ঘণ্টা ঘেরাও
বালুরঘাটের বিডিওকে বুধবার দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৯ ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস। জলঘর পঞ্চায়েত এলাকায় সব্জিচাষ প্রকল্পে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় জানান, আরএসপি পরিচালিত জলঘর অঞ্চলে ১৮০০ চাষির বদলে মাত্র ৯০০ চাষিকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। বিধবা ও বার্ধক্য ভাতার সঠিক উপভোক্তাদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। বিডিও পদক্ষেপ না করলে আন্দোলন চলবে। বিডিও পঙ্কজ তামাং খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেও আন্দোলনকারীরা ঘেরাও চালিয়ে যান। ১১টা নগাদ মহকুমাশাসক প্রতিমা দাস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিডিও ঘেরাও মুক্ত হন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.