ভালোবেসে বিয়ে করা স্ত্রীকে অষ্টমঙ্গলার রাত থেকেই মারধর শুরু করেছিলেন স্বামী। চার বছর ধরে ক্রমাগত মার খাওয়ার পর বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপ থানায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মামনি সর্দার।
নবদ্বীপের ফাঁসিতলার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি কাজল দাসের একমাত্র মেয়ে মামনিকে ২০০৮ সালে অষ্টমীর দিন কার্যত বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে পেশায় ইমিটেশন গয়নার কারিগর হারান সর্দার। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে অত্যাচার শুরু হয় স্ত্রীর উপর।
বৃহস্পতিবার নবদ্বীপ থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই সন্তানের জননী মামনি সর্দার। তিনি বলেন, “পশুর মতো আচরন করে আমার স্বামী। একবার তো মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মেরেই ফেলছিল। মাঝেমধ্যেই গায়ে সিগারেটের ছ্যাকা দেয়। সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আমার পেটে লাথি পর্যন্ত মারে। শ্বশুর-শাশুড়ি স্বামীকে অত্যাচার করতে প্ররোচিত করত।” মামনির বাবা কাজলবাবু বলেন, “বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে মেয়েকে মারধর করত। এ কাজে ওর বাড়ির লোকের উস্কানি ছিল।” মামনির মা মায়াদেবী বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেব। মেয়ে ঘর সংসার করবে। কিন্তু জামাই পরিবর্তন না হওয়ায় বাধ্য হয়ে আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।” পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই হারান ও তার বাবা-মা পলাতক। |