একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। একটি ক্লাব ও দু’টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আহত হন ২ জন পুলিশকর্মী। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। বুধবার রাতে নদিয়ার হরিণঘাটার নারায়ণপুর মেঠোপাড়া গ্রামে ওই ঘটনায় এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বধর্র্ন বলেন, “এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। দু’দলই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
হরিণঘাটার বিডিও সুজয় সাধু বলেন, “মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই গণ্ডগোল হয়েছে। ওই পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে এর আগে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন থেকেই তৃণমূল পরিচালিত হরিণঘাটা ব্লকের বিরোহী-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছিল বিরোধী সিপিএম। দিন কয়েক আগে নারায়ণপুরের মেঠোপাড়ার যুবক আল্লারাখা মণ্ডল একটি মোটর বাইক কেনেন। তিনি একশো দিনের কাজের সুপার ভাইজার আজিজুল মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, মোটর বাইকটি কেনার পর থেকেই সিপিএমের লোকজন তাঁকে কটুক্তি করতে থাকে। তাদের দাবি, আল্লারাখা একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করে মোটর সাইকেল কিনেছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সিপিএমের কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে ছোটখাটো গণ্ডগোল হয়। এরপর বুধবার রাত ৯টা নাগাদ কয়েকজন যুবক গ্রামের একটি ক্লাবে হানা দেয়। ওই ক্লাবে তখন আল্লারাখা সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী ছিল। খবর পেয়ে তারা পাশে সামসুর মণ্ডল ও অম্বর আলি মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারপর যুবকেরা ওই ক্লাব ও বাড়ি দুটিতে ভাঙচুর চালায়। দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। |