|
|
|
|
কলেজে মারধর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ছাত্রভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কলেজের পরিবেশ। বুধবার হলদিয়ার রানিচকের গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড কলেজে দুই এসএফআই সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল টিএমসিপি-র বিরুদ্ধে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন নির্ধরিত হয়েছে সোমবার। সপ্তাহ তিনেক আগে এই কলেজেই একটি সংঘর্ষে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এসএফআই-এর বিরুদ্ধে। ওই দিন এসএফআই-এর কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মারধরের অভিযোগ দায়েরও করে টিএমসিপি। এরপর থেকেই কলেজে আসছিলেন না অভিযুক্তেরা। এ দিন ওই এসএফআই সমর্থকেরা কলেজে আসতেই ‘পুরনো রোষ’ মেটাতে তাঁদের ঘিরে ধরে টিএমসিপি-র লোকজন মারধর করেন বলে অভিযোগ। এসএফআইয়ের অভিযোগ, প্রকাশ্যেই টানতে টানতে কলেজের কমনরুমে নিয়ে যাওয়া হয় মনজুরুল হক, শেখ নিজামুদ্দিন, শেখ সামসুদ্দিন-সহ দলের চার-পাঁচ জন সদস্যকে। তারপর ব্যাপক মারধর করা হয়। কোনও রকমে বেরিয়ে আসে মনজুরুল। সেই গোটা বিষয়টি জানায় জেলা নেতৃত্ব ও পুলিশকে। পরে হলদিয়া থানার পুলিশ কলেজে গিয়ে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নিজামুদ্দিন ও সামসুদ্দিনকে। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক পরিতোষ পট্টনায়েকের অভিযোগ, “আমি রাজ্যের বাইরে থাকাকালীন আমার নামেও থানায় মারধরের মিথ্যে অভিযোগ করেছিল ওঁরা। আজকে বহিরাগত তৃণমূল নেতাদের এনে ফের আমাদের ছেলেদের বেধড়ক মেরেছে।”’ যদিও কলেজের টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজরুল রহমানের দাবি, “আমাদের দু’সপ্তাহ আগে মারধর করে ওঁরাই কলেজে আসত না। আজকে মনজুরুল কলেজে এলে আমরা তা নিয়েই আলোচনা করছিলাম। ওঁরা উত্তেজিত হয়ে ধাক্কা দিলে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে মাত্র।” |
|
|
|
|
|