বেলপাহাড়িতে করম |
সিআরপি’কে ‘বন্ধু’ বললেন শুভেন্দু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
এক সময় জঙ্গলমহল থেকে যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি করলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ’কে ‘বন্ধু’ বললেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেলপাহাড়িতে করম পরব-এর একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুশাসনের কারণে জঙ্গলমহলে খুন-সন্ত্রাস এখন অতীত। আগে বাম জমানায় পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর হাতে ধরপাকড়ের আশঙ্কায় গ্রামের আদিবাসী ও কুড়মি সম্প্রদায়ের মতো মূলবাসীরা তটস্থ হয়ে থাকতেন। পরিবর্তনের ফলে পুলিশ ও সিআরপি’র বন্ধুরা শান্তি রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করায় ক্রমেই জঙ্গলমহলের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। উৎসবগুলি চেনা ছন্দে ফিরেছে। এই শান্তিকে চোখের মণির মতো রক্ষা করতে হবে।”
গত ৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক জনসভায় শুভেন্দু যাননি। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সভায় যাওয়ার আমন্ত্রণ তিনি পাননি। |
|
অন্য মেজাজে সাংসদ শুভেন্দু।—নিজস্ব চিত্র। |
ইতিমধ্যে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক নেতার ডানা ছাঁটা হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্বার্থে শুভেন্দুকেই জঙ্গলমহলের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। সম্প্রতি জঙ্গলমহলে ‘রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি’ শুরু করেছেন তমলুকের সাংসদ। এ দিন বেলপাহাড়িতে কুড়মি বা মাহাতো সম্প্রদায়ের সামাজিক অনুষ্ঠানের ওই সভায় শুভেন্দু বলেন, “৮ অগস্ট বেলপাহাড়িতে এসে মুখ্যমন্ত্রী শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। বাম জমানায় বঞ্চনার শিকার হওয়া মানুষজনের অনেক অভাব-অভিযোগ রয়েছে। সেই সব দাবি পূরণে কিছুটা সময় লাগবে।” কুড়মালি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতেও এ দিন সরব হন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, “জঙ্গলমহলের ৪২ শতাংশ মানুষ কুড়মালি ভাষায় কথা বলেন। লড়াই করে কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি আদায় করে নিতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।” |
|