সোনামুখীর জঙ্গল থেকে দামোদর নদ পেরিয়ে বৃহস্পতিবার হাতির দল ঢুকে পড়ল বর্ধমানের রামগোপালপুরে। পারাজের কাছে এ দিন ভোরে হঠাৎ হাতির পাল এলাকায় ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলে যান বনদফতরের অফিসারেরা। এ দিন দুপুরে এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, এর জেরে কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙেছে, ধান খেতের কিছু জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। বর্ধমানের ডিএফও গোপালচন্দ্র কাহেলি অবশ্য বলেন, “এখনও কোনও হতাহত, বাড়ি ভাঙা বা ধান নষ্টের খবর পাইনি।” জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, দুপুরের দিকে হাতির পালটি পারাজের কাছে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম করছিল। হাতি দেখতে সেখানে ভিড় জমে যায়। হাতির পালের কাছাকাছি লোকজনের যাওয়া বন্ধ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। |
বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে দামোদর পেরিয়ে জেলায় এইভাবে হাতিদের ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। তবে বিচ্ছিন্ন ভাবে একটি বা দু’টি দাঁতাল ঢুকলেও ২০০৬ সালেই শেষ এই ভাবে দল বেঁধে হাতির পাল ঢুকেছিল। বন বিভাগ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা নাগাদ হাতির পাল কসবার কাছে চলে গিয়েছে। মশাল জানিয়ে পালটিকে দামোদরের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিএফও গোপালচন্দ্র কাহেলি বলেন, “সোনামুখীর জঙ্গলে হাতির পাল ছিল দু’টি। তারা আলাদা আলাদা ভাবে দামোদর পার হয়েছে। পরে কসবার দিকে দল দু’টি এক হয়ে গিয়েছে। দলে ২২টিরও বেশি হাতি থাকতে পারে। পারাজের কাছে ডিভিসির একটি সেচখালের পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোটা পালটি। খালে নামতে ভয় পাচ্ছে। দলে রয়েছে চারটি বাচ্চা।” ডিএফও জানান, এই বাচ্চাগুলির জন্যই পালটির কাছাকাছি যেতে পারছেন না বনবিভাগের কর্মীরা। কর্মীদের সঙ্গে থাকা রসদও ফুরিয়ে এসেছে। সার্চলাইটের ব্যাটারিও শেষের মুখে। |
তাই রাতের মত হাতি তাড়ানো অভিযান পরিত্যক্ত হবারই সম্ভবনা। তবে হাতির এই পালটি খুব বেশি দিন বর্ধমানে থাকবে বলে মনে করছে না জেলা বনদফতর। গোপালবাবু জানান, খাবারের অভাবে সাধারণত হাতিরা এই সময়ে নানা জায়গায় চলে যায়। কিন্তু বর্ধমানের কোথাও এখনও ধান পাকেনি। তাই হাতিদেরও খাবার নেই। খাবারের অভাবেই ওই পালটি বর্ধমান ছেড়ে দ্রুত ফিরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। |