গন্ডার হত্যার তদন্তভার সিবিআইকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিরাঙায় তিনটি খড়্গহীন গন্ডার উদ্ধার হল। এর মধ্যে, দুটি গন্ডারের খড়্গ জীবন্ত অবস্থায় কেটে নেওয়া হয়েছে। তারা এখনও জীবিত। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চলছে প্রবল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে গন্ডার হত্যার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সেই সঙ্গে চোরাশিকারীর খবর দিলে, সরকারের তরফে ৫ লক্ষ টাকা অবধি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন গগৈ। গত ৯ মাসে কাজিরাঙায় ১৪টি গন্ডার চোরাশিকারিদের হাতে প্রাণ দিয়েছে। আরও দু’টি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। গত কাল কার্বি আংলং-এর পাহাড়ে খড়্গ কেটে নেওয়া রক্তাক্ত, জীবন্ত গন্ডারের ছবি টিভিতে সম্প্রচারিত হওয়ার পরে দেশজুড়ে নিন্দা শুরু হয়। তার ধাক্কা সামলাবার আগেই, আজ ফের কার্বি আংলং-এ একটি ও বুড়াপাহাড় রেঞ্জে আরও একটি গন্ডারের দেহ মেলে। দু’টিরই খড়্গ উধাও। দুই খড়্গবিহীন জীবন্ত গন্ডারকে বাঁচাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন পশু চিকিৎসকরা।
|
গাড়ির ধাক্কা, মৃত চিতাবাঘের বাচ্চা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
যাত্রিবাহী গাড়ির ধাক্কায় মারা গেল চিতাবাঘের একটি বাচ্চা। আর গাড়ি চাপা পড়ে সে প্রমাণ করে গেল, ওই অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায়। বন দফতর জানিয়েছে, আজ সকালে খোইজুমান এলাকায় একটি গাড়ির সামনে শাবকটি লাফ দিয়ে পড়ে। চালক গাড়ি থামাবার সময় পাননি। বাচ্চাটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে পুলিশ মৃতদেহটি মণিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসে। বন কর্তারা জানান, কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যানের ভিতরে বা বাইরে চিতাবাঘ থাকার প্রমাণ আগে মেলেনি। কিন্তু আজ, শাবকটি গাড়ি চাপা পড়ায়, বিষয়টি জানা গেল। তবে গ্রামবাসীরা গত কয়েকদিন থেকেই বাঘ সদৃশ কোনও প্রাণীর থাবার ছাপ দেখতে পাচ্ছিলেন। এ বার, চিতাবাঘের সন্ধানে এই এলাকায় খোঁজ শুরু করবে বনবিভাগ।
|
নাগা-প্রথা মানতে বুনো শুয়োর হত্যা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বুনো শুয়োর মেরে বনভোজন করল গ্রামবাসীরা। একটি বা দুটি নয়। নাগা গ্রামবাসীদের প্রথাগত বনভোজন উপলক্ষ্যে ২৪টি বুনো শুয়োরের প্রাণ গেল। মককচং জেলার চুচুইমলাং গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা ও বন দফতর সূত্রে খবর, বন্য শুয়োরের দল বছরের এই সময় ক্ষেতের ফসল ধ্বংস করে। তাই শুয়োরের বংশ ধ্বংস করা প্রাচীনকাল থেকেই এই এলাকার প্রচলিত পরব। স্থানীয় শিক্ষক ইমলিতোবা জানান, এ বারেও পঞ্চায়েতের মদতে নবীন-প্রবীন মিলে বুনো শুয়োরের পালকে তাড়া করে। বনে শুয়োরদের ঘিরে ফেলা হয়। তারপর দা ও তীর-ধনুকের সাহায্যে হত্যালীলা শুরু। গত দু’দিনে ২৪টি শুয়োর মারা পড়েছে। মাংস গোটা গ্রামে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নিয়মমতো সবচেয়ে বড় শুয়োরের মাথা খেয়েছেন গ্রামের প্রবীনতম ব্যক্তি। অবশ্য বন দফতরের তাতে কোনও হেলদোল নেই।
|
বুনো হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর। ডুয়ার্সে শামুকতলার কার্তিকা চৌপথি এলাকায় বুধবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতর জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম শর শিকদার (৫২)। |