বিনা কারণে এলাকার তিন যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট থানায় বিক্ষোভ দেখালেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এ দিকে বিক্ষোভ সরাতে পুলিশকে লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে এবং ধৃত তিন যুবককে নিঃশর্ত ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় শহর জুড়ে মিছিল ও রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সামিল হয় সিপিএম এবং কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, উভয় দলের শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা শহরে মজুরদের কাজ বন্ধ করে দেন এবং রামপুরহাট থানার আইসিকে ক্ষমা চাইতে বলেন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ধৃত তিনজন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে আইসি এবং এসডিপিও জানিয়েছেন মামলা রুজু হয়েছে।” |
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
সিপিএমের রামপুরহাট জোনাল সম্পাদক সঞ্জীব বর্মন বলেন, “যে তিন যুবককে ধরা হয়েছে তারা গরিব। মজুরি করে সংসার চালায়।” তাঁর দাবি, “জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাদের ধরে এনে দু’দিন থানায় আটকে রাখল। বিনা অপরাধে ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে তুলে এনে বৃহস্পতিবার তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রুজু করে আদালতে চালান করে দিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কাউন্সিলর, শিক্ষক-সহ সমস্ত স্তরের মানুষকে পুলিশ হেনস্থা করেছে।” সিটু নেতা রামপুরহাট লোকাল কমিটির সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন, “কী কারণে তাদের ধরা হল জানতে চাইলে আইসি নিরুত্তর। অথচ তিনজন মজুরকে পুলিশ অপরাধী বানিয়ে দিল। প্রতিবাদ করতে গেলে লাঠিচার্জ করা হয়।” কাউন্সিলর সঞ্জীব মল্লিকের দাবি, “লাঠি চালানোর প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ আমাকেও হেনস্থা করে।” অন্য দিকে, আইএনটিউসি নেতা সাহাজাদা কিনু বলেন, “শহরে বাড়িতে বাড়িতে, মন্দিরে চুরি হচ্ছে। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে পারছে না। উল্টে নিরপরাধ তিনজনকে ধরে মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেওয়া হল।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাউড়িপাড়া থেকে ৫ জন যুবককে ধরে এনে থানায় ঢুকিয়ে দেয়। ধৃত গৌতম বাউড়ির মা বুলুদেবীর দাবি, “পুলিশ বলছে ছেলে ডকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে জানতে পারি ডাকাতির মামলা রুজু করে দিয়েছে।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, “এক তৃণমূল নেতার চাপে সুনীল বাউড়ি ও ছেলে সম্প্রাট বাউড়িকে বুধবার রাতে ছেড়ে দিলেও রাকেশ বাউড়ি, সুকুমার বাউড়ি ও গৌতম বাউড়িকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। তাদের সাত দিনের জেল হাজত হয়। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। |