কাঁকরতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। চলল বোমা-গুলি। জখম হলেন চার তৃণমূল সমর্থক। জখম চারজনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনার পিছনে সিপিএমের হাত রয়েছে অভিযোগ তৃণমূলের। সিপিএম তা অস্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, বুধবারই কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে সিপিএমের হিংলো (লোকাল)পার্টি অফিসে ঢুকে তাঁদের নেতা-কর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে ওই ঘটনার যোগ রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট আভিযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা। তিনি বলেন, “অভিযোগ না পেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, এ দিন সকালে কাঁকরতলায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন বেশ কয়েকজন সমর্থক। সেই সময় ১৪-১৫ জনের একটি দুষ্কৃতী দল বোমা-বন্দুক নিয়ে আচমকা হামলা চালায়। তাতেই জখম হন শেখ মানা, শেখ ফারুক, শেখ তাজমত এবং শেখ মুজিবুল। প্রত্যেকের বাড়ি কাঁকরতলায়। তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিপিএমের প্রত্যক্ষ মদতেই এই হমলা হয়েছে। আমরা পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”
অন্য দিকে, সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “এাটা সম্পূর্ণ ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চাপা দিতেই ওরা এ সব উল্টোপাল্টা কথা বলছে।” |