টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের গোলমাল বাধল কালনা কলেজে। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের মধ্যেই প্রহৃত হলেন এক টিএমসিপি সমর্থক। কলেজে সশস্ত্র বহিরাগতেরা ঢুকেছে, এ নিয়ে দিনভর টানাপোড়েন চলল কলেজ চত্বরে। পুলিশ অবশ্য কলেজে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি।
কলেজের টিএমসিপি নেতা সমরজিৎ হালদার অভিযোগ করেন, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁদের গণেশ সাহা নামে তাঁদের গোষ্ঠীর এক ছাত্রকে কলেজের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করা হয়। সমরজিতের দাবি, “সেই সময়ে কলেজে বেশ কিছু বহিরাগত লোকজন ছিল। গণেশকে বাঁচাতে গিয়ে আমরাও প্রহৃত হই।” জখম ছাত্রকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। |
দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলেজ লাগোয়া পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি নম্বরপ্লেট ছাড়া গাড়ি নজরে পড়ে লোকজনের। স্থানীয় তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ করেন, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বহিরাগতেরা কলেজে ঢুকেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। এসডিপিও (কালনা) ইন্দ্রজিৎ সরকার, সিআই অশেষ ঝা, কালনা ওসি অমিত মিত্রের সঙ্গে কিছু তৃণমূল নেতার বাগ্বিতণ্ডা হয়। তৃণমূল নেতা মদন পোদ্দারের দাবি, কলেজে বারবার অশান্তি হলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয়।
বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ কলেজে যায়। অধ্যক্ষ রাজীবকুমার মুখোপাধ্যায়ের কাছে পুলিশ জানতে চায়, এ দিন গণ্ডগোলের খবর কেন আগে জানানো হয়নি। অধ্যক্ষ জানান, প্রাথমিক ভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার পরে খবর দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় অধ্যাপক ও অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠক করে নিরাপত্তার ব্যাপারে নানা পরামর্শ দেয় পুলিশ। এর পরে গোটা কলেজ চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও কিছু মেলেনি। নম্বরহীন গাড়িটি পুলিশ আটক করেছে। ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “মাঝে-মধ্যেই কলেজে গণ্ডগোল বাধছে। তাতে পঠন-পাঠনের ক্ষতি হচ্ছে।” |