পানাগড়ের রেলপাড়ে এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা মারা এবং লুঠপাটের ঘটনায় ‘নিরপেক্ষ তদন্তে’র নির্দেশ দিলেন দুর্গাপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কাজি আব্দুল হাসেম। কাঁকসা থানার ওসি-কে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ অগস্ট গভীর রাতে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক বিজয় মণ্ডলের বাড়ির উঠোনে দু’টি বোমা ফাটায় দুষ্কৃতীরা। লুঠপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজয়বাবুর অভিযোগ, “আমরা তৃণমূল সমর্থক। তাই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” তাঁর ছেলে রামজির দাবি, “এর আগেও সিপিএমের গুন্ডারা আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে।” সিপিএমের বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা কাঁকসা জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক বীরেশ্বর মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। কাঁকসায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব মাঝে-মাঝেই প্রকাশ্যে আসছে। এই ঘটনায় আমাদের কেউ যুক্ত নয়।”
বিজয়বাবুর আক্ষেপ, “বামফ্রন্টের আমলেও বারবার আমাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। প্রতি বার পুলিশকে জানিয়েছি। ওরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশের উপরে আস্থাই চলে গিয়েছে আমাদের।” তাঁর অভিযোগ, গত ২৫ অগস্ট বিকেলে ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে শাসায়, পুলিশের কাছে মুখ খুললে তাঁকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। এর পরেই তিনি দেবাশিস বিশ্বাস, রামু প্রসাদ, সুরজিৎ দত্ত, বিষ্ণুদেব শর্মা, সন্তোষ প্রসাদ, কুণাল রাম, সুনীল ঠাকুর, জ্যোতি রাম, বিশাল ঠাকুর, তারক দাস ও কল্যাণ দাসের নামে দুর্গাপুর আদালতে অভিযোগ জানান। এসিজেএম নির্দেশ দিয়েছেন, আদালতে জানানো ওই অভিযোগ ‘এফআইআর’ হিসাবে গণ্য করে কাঁকসা থানার পুলিশ যেন ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে। আগামী ১ অক্টোবর আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।
পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত চলছে। |