|
|
|
|
| |
| অপপ্রচার বলে পাল্টা মমতার |
ফোন করে পাওয়াই যায়নি, দাবি কংগ্রেসের
|
| নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
ফোন এসেছিল না আসেনি। এই প্রশ্নেই চাপানউতোর চলছে কংগ্রেস-তৃণমূলে।
মমতা সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরে মঙ্গলবার রাতে স্বয়ং সনিয়া গাঁধী তাঁকে ফোন করেছিলেন, মেসেজ পাঠিয়েছিলেন বলে দাবি করছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, মমতার সঙ্গে আগেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন মনমোহন সিংহ। কিন্তু সনিয়া বা মনমোহন, কেউই ফোনে মমতাকে পাননি। পাঠানো মেসেজের উত্তরও আসেনি । তৃণমূলের বক্তব্য, গোটাটাই অপপ্রচার। কোনও ফোন আসেনি বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন মমতা নিজেই।
কংগ্রেস মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদী এ দিন বলেন, “গত কাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরে রাতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সনিয়া গাঁধী। ওঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তখন কংগ্রেস সভানেত্রীর তরফে মমতার মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয়। তারও জবাব আসেনি।” উত্তরে বুধবার রাতে মমতা নিজে বলেছেন, ‘‘নির্জলা মিথ্যা। আমার নম্বর সনিয়াজি জানেন, আমি সনিয়াজির নম্বর জানি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, ওঁরা প্রমাণ দেখান!”
এ সবের আগে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক কর্তা বুধবার বলেন, “গত ২২ অগস্ট ইউপিএ-র সমন্বয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংস্কারের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তখন মমতা বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা ভাবে আলোচনা করতে চান। সেই দিনই দু’জনের একান্তে কথা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী একাধিক বার মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফেও দাবি করা হয়েছে যে, চেষ্টা করেও মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এ দিন দুপুরে অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনিরা জানান, গত চার দিন ধরে মমতার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নিজে দু’বার মমতাকে ফোন করেছিলেন। মমতা ফোন ধরেননি। মেসেজ-ও পাঠানো হয়েছিল। জবাব আসেনি। এই দাবিকে অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়ে মমতা ফেসবুকে লেখেন, “কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করছি। এটা সাজানো (কথা)।”
কংগ্রেস সূত্রে এ-ও বলা হচ্ছে যে, মমতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারার পরে রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের মাধ্যমে তাঁকে বার্তা পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেই দাবি খারিজ করাতে মুকুলকে মহাকরণে ডেকে পাঠান মমতা। মুকুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমার মাধ্যমে কোনও কথা মুখ্যমন্ত্রীকে বলেননি। মোবাইলে কোনও মেসেজ-ও পাঠাননি প্রধানমন্ত্রী।” আর মমতা নিজে বলেন, “১৪ সেপ্টেম্বরই সনিয়া গাঁধীকে জানিয়ে দিয়েছিলাম কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করব না। পাঁচ দিন সময়ও দিয়েছিলাম সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য। তাই দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, যা বলা হচ্ছে তার পুরোটাই বিকৃত।”
|
| চাপানউতোর |
 |
 |
দাবি ১
জনার্দন: মঙ্গলবারই সনিয়ার ফোন,
মেসেজ। মমতা নিরুত্তর। |
পাল্টা ১
মমতা: নির্জলা মিথ্যা।
ওঁরা প্রমাণ দেখান! |
দাবি ২
পিএমও: প্রধানমন্ত্রী ফোনে পাননি মমতাকে। |
পাল্টা ২
তৃণমূল: অপপ্রচার। কোনও ফোন আসেনি। |
দাবি ৩
চিদম্বরম: প্রধানমন্ত্রী দু’বার ফোন করেন,
মেসেজ-ও পাঠান। মমতা ফোন ধরেননি। |
পাল্টা ৩
মমতা: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের
বিরোধিতা করছি। এটা সাজানো (কথা)। |
দাবি ৪
কংগ্রেস: মুকুল রায়ের মাধ্যমে
মমতাকে বার্তা পাঠায় পিএমও। |
পাল্টা ৪
মুকুল: আমার মাধ্যমে কোনও বার্তা আসেনি।
মোবাইলে মেসেজ-ও নয়। |
|
|
|
 |
|
|
