স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারে অভিযুক্ত আব্বাস আলি মোড়ল ওরফে পুঁটেকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বসিরহাটের বুনারআটী ইউসুফ ইসমাইল মেমোরিয়াল হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে আব্বাস। নগরকচুয়া হাটখোলা বাজারে এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক লরিচালককে চড় মারে। পরে গুলি চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের অভিভাবকেরা ঘটনার প্রতিবাদে বাদুড়িয়া-বেড়াচাঁপা রাস্তা অবরোধ করেন। স্কুলেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বুধবার দুপুরে দেগঙ্গা ও বসিরহাটের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ইয়াজপুরে গ্রামের বাড়ি থেকেই আব্বাসকে ধরে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, বছর কয়েক আগে দেগঙ্গার এক পুলিশ কর্মীর মেয়ের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। পেয়ারা খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে হাঁসা নামে এক জনের পেটে ছুরি চালিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ আছে তার ওই যুবকের নামে। বছর আটত্রিশের আব্বাস এলাকায় মস্তানি, তোলাবাজির সঙ্গেও জড়িত। পুলিশের খাতায় তার নামও আছে। পুলিশ জানায়, জেরায় আব্বাস দাবি করেছে, মঙ্গলবার বাজারের পথে ছাত্রীটির সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। অসতর্কতাবশত ছাত্রীটির ওড়না তার হাতে চলে আসে। তাতেই ভয় পেয়ে যায় মেয়েটি। আব্বাস এ দিন বলে, “আগে মস্তানি করতাম ঠিকই, কিন্তু বিয়ের পর থেকে আর ও সবে যুক্ত নই। সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাকে জব্দ করতে আমার কিছু আত্মীয়ই লোকজন ডেকে ঘটনাটা এত বাড়িয়ে তুলল।” মঙ্গলবারের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন স্থানীয় মানুষ। ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বহু স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বসিরহাটের আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “আব্বাসকে গ্রেফতারের পাশাপাশি গোটা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই থানা এলাকায় বহু স্কুল আছে। সব স্কুলের সামনে টহল দেওয়ার মতো পুলিশ কর্মী নেই। তবে বিশেষ করে যে সব স্কুলে মেয়েরা পড়ে, সেখানে টহলের চেষ্টা হচ্ছে।” |