দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন দলেরই সদস্যরা। অথচ অনাস্থা ভোটাভুটি সংক্রান্ত সভায় তাঁরা উপস্থিত হননি। পাশাপাশি অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন জানানো বামপন্থী সদস্যরাও অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবে নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। সভাপতি পদে তিনি বহাল রইলেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে ৫ জন সদস্য অনাস্থা এনেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসের তিন সদস্য ছিলেন। তাঁরা হলেন সহসভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন, শিক্ষাকর্মাধ্যক্ষ সানোয়ারা খাতুন, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল হালিম। বাকি দুই সদস্য সিপিএমের মসিউর রহমান ববি এবং সমাজবাদী পার্টির তানসের আলি।
বুধবার সভায় পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ জন সদস্যের মধ্যে কেবলমাত্র মসিউর রহমান ববি উপস্থিত ছিলেন। এর ফলে সভা পরিচালনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম যে সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি থাকা দরকার তা না থাকায় সভার প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়। মসিউর রহমান ববি ও তানসের আলি বলেন, “কংগ্রেসের তিন সদস্য দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। আমরা সভাপতির কাজকর্মের প্রতিবাদ করে সমর্থণ করেছিলাম। আশা ছিল সিপিএমের অন্য সদস্যদের সমর্থণ পাব। তাঁদের দ্বিচারিতার জন্য এ দিন অনাস্থা প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে যায়।”
সভায় যোগ দেননি সভাপতি বেলাল হোসেনও। তবে সভা বাতিল হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল তা মিথ্যা, সদস্যরা সভায় যোগ না দেওয়াতেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি বামপন্থীরা যোগ না দিয়ে প্রমাণ করলেন আমি সমস্ত দলের সদস্যদের সমান গুরুত্ব দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালিয়ে আসছি। অনাস্থা প্রস্তাব আনা কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল হালিম ছাড়া আর কারও সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে আব্দুল হালিমের যুক্তি, “অসুস্থতার জন্য সভায় উপস্থিত থাকতে পারিনি।” বিডিও গঙ্গাধর দাস বলেন, “সভা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন (ন্যূনতম ৭ জন)। কিন্তু এদিন কোনও সদস্যই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সভা বাতিল হয়ে যায়।” |