রাজনৈতিক সংঘর্ষে বার বার উত্তপ্ত হয়ে ওঠা আরামবাগের মাটিতে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের ‘সংযত’ থাকার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রেলমন্ত্রী মুকুল রায়।
বিধানসভা ভোটের পর থেকে গত কয়েক মাসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বহু বার ‘সন্ত্রাস’ অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। হুগলি জেলার এই প্রান্তে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ও ভোগাচ্ছে তৃণমূলকে। |
রবিবার আরামবাগ বয়েজ স্কুলের মাঠে দলের এক সভায় মুকুলবাবু বলেন, “দলীয় কর্মীদের সতর্ক করে বলছি, সংযম এবং বিনয়ের সঙ্গে মানুষের কাছে যান। মানুষকে অসম্মান করলে, খারাপ ব্যবহার করলে আমাদের দলে কারও জায়গা হবে না।” এই প্রসঙ্গে বাম জমানার উদাহরণ টেনে এনে তিনি বলেন, “সিপিএমও এক সময়ে মানুষের কথা না শুনে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছিল। মানুষের গণপ্রতিরোধে ওদের ক্ষমতা থেকে সরতে হয়েছে।” সিপিএম ছেড়ে আসা কিছু দুষ্কৃতী তৃণমূলের পতাকা কিনে গ্রামে গ্রামে তোলাবাজি করছে, অত্যাচার চালাচ্ছে বলে এ দিন মন্তব্য করেন তৃণমূলের হুগলি জেলা সম্পাদক তপন দাশগুপ্ত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গত রবিবার আরামবাগেরই রবীন্দ্রভবনে কর্মিসভা করে গিয়েছে। এ দিন মুকুলবাবুর সভাকে তারই ‘পাল্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্না।
দলীয় সভা সেরে মুকুলবাবু এ দিন আরামবাগ রেলস্টেশনে আসেন। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথের ইএমইউ কোচের উদ্বোধন করেন তিনি। গত ৪ জুন এই রেলপথের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |