স্কুলের শিক্ষকদের গৃহশিক্ষকতা করা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হল কৃষ্ণনগরে। শনিবার কৃষ্ণনগর হাইস্কুলে অভিভাবকদের একটি সংগঠন একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষকও। সেখানে অভিভাবকদের একটি অংশ দাবি করেন, স্কুলের শিক্ষকেরাই গৃহশিক্ষকতা না করলে, তাঁদের ছেলেমেয়েরা সমস্যায় পড়বেন। অভিভাবক প্রশান্ত দাস বলেন, “সামনেই পরীক্ষা। এখন স্কুলের যে শিক্ষকদের কাছে ছেলেমেয়েরা টিউশন পড়ে, তাঁরা পড়ানো বন্ধ করে দিলে বিপদে পড়ে যেতে হবে।” আর এক অভিভাবকের মতে, “স্কুলের শিক্ষকেরা নিয়মিত পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা জানেন, কী ভাবে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভাল ফল করা সম্ভব। কিন্তু স্কুলে পড়ান না এমন কোনও গৃহশিক্ষকের কাছে সেটা আশা করা যাবে না।” তাঁর কথায়, “আমাদের দেশে পরীক্ষায় ভাল ফল করাটা জরুরি। কী করব?”
ওই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর এ ভি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক নৃপেন সাহা। তাঁর অবশ্য সোজা কথা, “স্কুলের শিক্ষকেরা যদি টাকা না নিয়ে পড়ান, তা হলে আমাদের কিছু বলার নেই।” সম্প্রতি জেলার ৩৮ জন স্কুল শিক্ষকের নামের তালিকা করে তাদের গৃহশিক্ষকতা করা নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। স্কুলগুলিকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন জেলার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক। এরপরেই অনেক স্কুল-শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। অভিভাবক রজত মোদক বলেন, “স্কুল শিক্ষকের গৃহশিক্ষকতা করাটা ঠিক নয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে সর্বত্রই একই নিয়ম করতে হবে। কৃষ্ণনগরে বন্ধ হবে আর অন্যত্র পড়ানো চলবে, তা যেন না হয়।” প্রদীপ বাগচি বলেন, “স্কুলের শিক্ষকদের হঠাৎ করে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করে দিলে সামনে যাদের পরীক্ষা, তারা সমস্যায় পড়বে।” |