গৃহ প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণে জোর
রিব মানুষকে মাথার উপর ছাদ দিতে নানা প্রকল্প রয়েছে সরকারের। ইন্দিরা আবাস যোজনা, নিজ ভূমি নিজ গৃহ, আমার ঠিকানা নানা প্রকল্পের কাজই চলছে। সেই সূত্রেই আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পালিত হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ আবাসন দিবস’। বর্ধমানে মূল অনুষ্ঠানটি হলেও রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই দিনটি পালন করা হবে।
বর্ধমানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। অন্য জেলাতেও বিভিন্ন মন্ত্রীরা থাকবেন। তবে বাম জন-প্রতিনিধিদের আর ‘ব্রাত্য’ রাখা হচ্ছে না। বামফ্রন্ট পরিচালিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদেরও (এই জেলায় বাম সভাপতিই সংখ্যাগরিষ্ঠ) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা স্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন গৃহ প্রকল্পের বেশ কয়েকজন উপভোক্তাও। যদি সে দিন সম্ভব না হয় তাহলে পরদিন ব্লক স্তরে অনুষ্ঠান করে উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “আমাদের জেলাতেও ওই দিন সরকারি নির্দেশ মেনে অনুষ্ঠান মেনে। এই কাজ সফল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” পূর্ব মেদিনীপুরে জেলা স্তরের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী। ওই অনুষ্ঠানে অন্তত ৫০টি পরিবারের হাতে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের বাসস্থান তৈরির জন্য ইন্দিরা আবাসন, আমার ঠিকানা, নিজগৃহ নিজভূমি, গীতাঞ্জলি, স্পেশাল বিআরজিএফ (গ্রামীণ আবাসন) প্রভৃতি প্রকল্প রয়েছে। বিপিএল তালিকায়ভুক্ত গৃহহীনদের ‘ইন্দিরা আবাস যোজনা’য় বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা। যাঁদের নিজস্ব জমি নেই তাঁদের জন্য রয়েছে ‘নিজ ভূমি নিজ গৃহ প্রকল্প’। এই প্রকল্পে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করে দেয় সরকার। এছাড়াও ‘আমার ঠিকানা’, ‘আমার বাড়ি’-সহ নানা প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি প্রকল্পের কাজই ধীর গতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাম আমলে উপভোক্তা চিহ্নিতকরণে দলবাজির অভিযোগ উঠত হামেশাই। আর নতুন সরকারের আমলে প্রশাসনিক উদাসীনতায় গোটা প্রক্রিয়াটাই বিলম্বিত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার প্রকল্পগুলি দ্রুত রূপায়ণে উদ্যোগী হয়েছে। সেই লক্ষ্যেই আবাসন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত। এর ফলে প্রশাসনের উপর যেমন ‘চাপ’ থাকবে, তেমনই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে মানুষের সচেতনতাও বাড়বে। তাই জেলা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিটি স্তর থেকেই তালিকা সংগ্রহ, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তা বাছাই ও তারপর কিস্তি অনুযায়ী টাকা দেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে সরকার।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.