গত তিন বছরে সাংসদ হিসেবে কী কাজ করেছেন, সেই ‘উন্নয়নের খতিয়ান পুস্তিকা’ প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বিকেলে হলদিয়ার সুতাহাটায় সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে ‘উন্নয়নী সভা’ সভা করে এই পুস্তিকা প্রকাশ করেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ।
১৭৬ পাতার পুস্তিকাটিতে ২০০৯-’১২ সাল পর্যন্ত সাংসদ তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসেবে রয়েছে। সেই অনুসারে গত তিন বছরে মোট ১০ কোটি ৭২ লক্ষ ১৯ হাজার ২০০ টাকা ব্যয় হয়েছে ৯টি ব্লক, ২টি পুরসভা এবং হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের অধীন এলাকার উন্নয়নে। ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে যে ৫০ শতাংশ প্রকল্পের কাজ হয়েছে, ১৭ পৃষ্ঠার অন্য একটি পুস্তিকায় তারও বিবরণ রয়েছে। শনিবারের এই অনুষ্ঠানে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, বিধায়ক ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। |
শুভেন্দু বলেন, “আমরা অনেক সময় সাধ ও সাধ্যের মধ্যে সমতা আনতে পারি না। মানুষ যা চায় না তা-ও করে ফেলি। তবে ভুল স্বীকারের একটা জায়গা রয়েছে। আমরা যে কাজ করতে পেরেছি সেটা তুলে ধরে এই খতিয়ান প্রকাশ করলাম।” এর আগে এমন বিস্তারিত বিবরণ-সহ কোনও খতিয়ান প্রকাশ হয়নি দাবি করে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের নাম না করে সমালোচনা করেন শুভেন্দু। সেই সঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের পরামর্শ দেন, “আমি এই পুস্তিকা প্রকাশ করে সূচনা করলাম। মনে হয় সরকারি টাকা জনগণের কাজে কী ভাবে খরচ হয়েছে, তা পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাও তুলে ধরবেন।” সাংসদ হিসেবে তিনি কী ভাবে নলকূপ, হাসপাতাল, রাস্তা, শিক্ষা-সহ একাধিক অর্থ বরাদ্দ করেছেন, সংক্ষেপে তা-ও জানান শুভেন্দু। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতাও করেছেন। শিল্পশহর হলদিয়ায় পরিবেশ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে শুভেন্দু জানান, তিনি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এই কারণে বিনিয়োগে ইচ্ছুক অনেক শিল্পসংস্থা পিছিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণ কমে গেলেও কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে না বলে শুভেন্দুর অভিযোগ। সাংসদের কথায়, “আমি বহুবার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের সহযোগিতার অভাব দেখছি। বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছি।” |