|
|
|
|
নেহরু জয়ের সংবর্ধনায় ফেড কাপ ‘রেষারেষি’ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
‘পরিবর্তন’ জমানায় স্বীকৃতিতেও পরিবর্তন। নেহরু কাপ জয়ের হ্যাটট্রিকের পরেই রাজ্য সরকারের সংবর্ধনা জুটল নবি-মেহতাবদের।
এর আগের দু’বার নেহরু কাপ জয়ের পর রাজ্য সরকারের তরফে সংবর্ধনা তো দূরের কথা। একটা সুতোও জোটেনি নবি-গৌরমাঙ্গীদের। এ বার হ্যাটট্রিকের পরেই রাজ্য ক্রীড়া দফতর ৫০ হাজার টাকা তুলে দিল ঘরের প্রত্যেক জাতীয় ফুটবলারের হাতে। রবিবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে সংবর্ধনা পেয়ে স্বভাবতই খুশি প্লেয়াররা। নবি-মেহতাবরা একমত, “এর আগের দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও রাজ্য সরকারের সংবর্ধনা জোটেনি। এই সরকার যে আমাদের সাফল্যে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এল তার জন্য ভাল লাগছে।”
সংবর্ধনার মঞ্চে চাঁদের হাট। পিকে-চুনী-বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়-গৌতম সরকারদের সঙ্গে হাজির নেহরু কাপ জয়ী শহরের এক ডজন ফুটবলার। ইস্টবেঙ্গলের সঞ্জু প্রধান, মেহতাব, গুরবিন্দর, রবিন, রাজু গায়কোয়াড়, মননদীপদের সঙ্গে ছিলেন মোহনবাগানের নবি, নির্মল ছেত্রী, জুয়েলরাও। |
|
সংবর্ধনা মঞ্চে ময়দানের বারো জাতীয় ফুটবলার। রবিবার।—নিজস্ব চিত্র |
প্রয়াগ ইউনাইটেডের সুব্রত পাল, গৌরমাঙ্গী এবং পৈলান অ্যারোজের অলউইন জর্জও সম্মানিত হন একই মঞ্চে। পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় পরিয়ে ফুটবলারদের বরণ করে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “ঘরের ছেলেদের আরও ভাল খেলার উৎসাহ দিতেই এই সংবর্ধনা।”
মঞ্চে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসি মুখে ‘ফটোসেশন’ সারলেও কয়েক দিন পরেই ফেড কাপে এঁরা আলাদা হয়ে যাবেন। সে কথা উঠতেই নবি বললেন, “ওই ৯০ মিনিট আমরা বন্ধু নই।” সবুজ-মেরুনের নবি যখন এ কথা বলছেন, তখন পাশে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হাসছেন লাল-হলুদের মেহতাব। ক্লাবগত বিভেদ থাকলেও সকলেই যে জাতীয় কোচ কোভারম্যান্সের পাসিং ফুটবলেই বিপক্ষকে ঝলসে দিতে চাইছেন তা কথাবার্তাতেই পরিষ্কার। সঞ্জুর কথায়, “কোভারম্যান্স মাটিতে বল রেখে পাস খেলায় জোর দেওয়ায় সাহস বেড়েছে। ফেড কাপে তা কাজে লাগবে।” মেহতাব বলছেন, “পাসিং ফুটবলে আমাদের পায়ে বেশি সময় বল থাকবে।” পৈলানের অলউইন জর্জের হুঙ্কার, “পাসিং ফুটবল খেলেই ফেড কাপে রক্ষণের সঙ্গে আক্রমণটাও সচল রাখতে হবে।” |
|
|
|
|
|