|
|
|
|
ভূপতি-বোপান্নার শাস্তি |
প্রশ্ন ফেডারেশনের অধিকার নিয়েই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মহেশ ভূপতি এবং রোহন বোপান্নাকে জাতীয় টেনিস ফেডারেশন নির্বাসিত করতে পারে কি না সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। একইসঙ্গে আখতার আলি, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের মতো টেনিস ব্যক্তিত্বদের প্রশ্ন, ‘শাস্তি’র সময়টার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও। এমন প্রশ্নও টেনিসমহলে ঘোরাফেরা করছে যে, দেশের হয়ে চলতি সপ্তাহে ডেভিস কাপে না খেলে লিয়েন্ডার পেজ আমেরিকায় ক্লাব টুর্নামেন্ট (ওয়াশিংটন ক্যাসেলসের হয়ে ডব্লিউটিটি-তে) খেললেও তাঁর ক্ষেত্রে ফেডারেশনের অন্য নিয়ম কেন? কিংবা কী ভাবে সোমদেব দেববর্মন ডেভিস কাপে শারীরিক কারণে বিশ্রাম নেওয়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেললেন?
কঠিন প্রশ্নাবলীর সামনে পড়ে এ দিন এআইটিএ সচিব ভরত ওঝা বলেন, “মহেশ-বোপান্নাকে নির্বাসিত করা হয়নি। শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়াডের আগে ওদের জাতীয় দলে ফেরানো হবে না। ফেডারেশন প্লেয়ারদের বেয়াদপি বরদাস্ত করবে না। অলিম্পিকে লিয়েন্ডারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলসে খেলতে না চেয়ে মহেশরা এআইটিএ-কে ব্ল্যাকমেল করেছে।” আর “লিয়েন্ডার, সোমদেবের জন্য মোটেই অন্য নিয়ম নেই ফেডারেশনের। লিয়েন্ডার আগেই এআইটিএ-র অনুমতি নিয়ে রেখেছিল। সোমদেব র্যাঙ্কিং পয়েন্ট এবং কিছুটা আর্থিক লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেলেছে।” |
দেশের হয়ে |
মহেশ ভূপতি |
১৭ বছরে ৫৫ ম্যাচ। জয়-হার ৩৫-২০।
ডাবলসে লিয়েন্ডারের সঙ্গে ২৫-২। |
রোহন বোপান্না |
১০ বছরে ৩১ ম্যাচ। জয়-হার ১২-২১। |
|
যে ব্যাখ্যার সঙ্গে অবশ্য টেনিসমহলের অনেকেই একমত নন। এই অংশের বক্তব্য, পেজদের (লিয়েন্ডারের বাবা ভেস পেজ বহু বছর ধরে ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের ডাক্তার) সঙ্গে ফেডারেশনের সুসম্পর্ক থাকায় এবং সোমদেব পেজ-গোষ্ঠীর স্নেহভাজন হওয়ায় পার পেয়ে গিয়েছেন। সবাই অবশ্য একটা বিষয়ে একমত যে, এই শাস্তির ফলে ভারতীয় দলে মহেশের কেরিয়ার কার্যত শেষ হয়ে গেল। শাস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় মহেশ চল্লিশ পূর্ণ করে ফেলবেন। বোপান্না ৩৪ ছাড়িয়ে যাবেন। জয়দীপ যেমন বললেন, “এমনিতেই বিষ্ণু-দ্বিবীজের চণ্ডীগড়ের পারফরম্যান্সের পর মহেশদের ডেভিস কাপে আর দরকার দেখছি না। কিন্তু ফেডারেশন ‘ব্ল্যাকমেল’ হওয়া সত্ত্বেও মহেশ-বোপান্না জুটিকে অলিম্পিকে পাঠাল কেন? তা ছাড়া ফেডারেশনকে ‘ব্ল্যাকমেল’ তো লিয়েন্ডারও করেছে অলিম্পিকে। সানিয়া ছাড়া আর কাউকে নিয়ে মিক্সড ডাবলস খেলবে না বলে!”
আখতারও বললেন, “শাস্তিটা ফেডারেশন অলিম্পিকের আগে দিল না কেন? তা হলে বুঝতাম।” আবার এআইটিএ সচিবের মন্তব্য থেকে পরিষ্কার যে, প্লেয়ারদের নির্বাসিত করার স্পষ্ট নিয়ম নেই সংস্থার গঠনতন্ত্রে। আর যেহেতু পেশাদার সার্কিটে প্লেয়ারদের খেলা দেশের ফেডারেশন বন্ধ করতে পারে না, সে জন্য মহেশদের এহেন শাস্তির খুব একটা গুরুত্ব দেখছেন না অনেকে। বরং মহেশদের শাস্তি দিতে গিয়ে ফেডারেশনের উপলব্ধিটা বেশি তাৎপর্যের। এআইটিএ সচিবের স্বীকারোক্তি, প্লেয়ারদের জন্য ফেডারেশনের কোনও ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ নেই। সেটার কাজ চলছে। এবং দু’তিন মাসের মধ্যেই বলবৎ হয়ে যাবে।
যেটা বোধহয় মহেশদের শাস্তি-পর্ব থেকে ভারতীয় টেনিসের আসল প্রাপ্তি।
|
য়ুকিরা ৫-০ জিতলেন |
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডেভিস কাপে ভারত ৫-০ জিতল। রবিবার রিভার্স সিঙ্গলসের প্রথম ম্যাচে য়ুকি ভামব্রি ২-৬, ৭-৫, ৭-৬ (৭-৫) হারান স্ট্যাথামকে। শেষ ম্যাচে সনম সিংহ ৬-৪, ৬-১ উড়িয়ে দেন সিটাককে। |
|
|
|
|
|