কলকাতার একটি নামী কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কথা না রাখতে পারায় শেষ পর্যন্ত পাওনাদারের হাতেই ‘অপহৃত’ হতে হল।
শনিবার পার্ক স্ট্রিট থেকে ব্যবসায়ী উপেন্দ্র রাম অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করার পর অপহরণের অভিযোগে রাহুল জৈন এবং ত্রিশল জয়সোয়াল নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই টাকা দেনা-পাওনার কথা জানা গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
কলকাতা পুলিশের ডিসি ডিডি (স্পেশ্যাল) মুরলীধর শর্মা জানান, রাহুল এবং ত্রিশল শিবপুরের বাসিন্দা। তাঁরা ছাড়া এই ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত। তাঁদের খোঁজ চলছে। অপহরণের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটিও উদ্ধার করা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে পার্ক স্ট্রিট থেকে উপেন্দ্রকে একটি গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ফোন করে তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে ফোনের সূত্র ধরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, হাওড়ার শালিমার এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে উপেন্দ্রকে। এর পরেই ওই ব্যবসায়ীর পরিবারকে অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে বলেন গোয়েন্দারা।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রথমে অপহরণকারীরা ছ’লক্ষ টাকা দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত এক লক্ষ টাকায় রফা হয়। গভীর রাতে টাকা পাওয়ার পরে উপেন্দ্রকে ছেড়ে দেয় রাহুলেরা। ছেড়ে দেওয়ার পরেই ওই এলাকায় ওত পেতে থাকা তদন্তকারীরা পাকড়াও করেন রাহুলকে। পরে ত্রিশলকে গ্রেফতার করা হয়। ‘মুক্তিপণের’ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, রাহুলের ভাইকে কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার নাম করে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন উপেন্দ্র। কিন্তু ভর্তি তো করতে পারেননি, উল্টে সেই টাকাও ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। তদন্তকারীদের দাবি, টাকা ফেরত পেতেই উপেন্দ্রকে অপহরণের ছক কষে রাহুল।
|