ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য সুভাষ সরোবর থেকে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির পুনর্বাসনে রবিবার ভূমিপুজো হল বাইপাস সংলগ্ন ফুলবাগান এলাকায়। পুনবার্সনের সমস্যার জেরে বছর দু’য়েক সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত মাটির উপরে স্তম্ভ গড়ে লাইন বসানোর কাজ থমকে ছিল। ‘কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন’ (কেএমআরসি) সূত্রের খবর, সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টর থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চলবে। ওই প্রকল্পে ১২টির মধ্যে ৬টি স্টেশন থাকবে মাটির উপরে। সে জন্য স্তম্ভ তৈরি করে রেললাইন বসবে। কিন্তু সুভাষ সরোবর এবং দত্তাবাদে কয়েকটি পরিবারের পুনর্বাসনের সমস্যা তৈরি হয়। তার জেরে সেখানে কাজ আটকে ছিল।
কেএমআরসি সূত্রের খবর, সুভাষ সরোবরে কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মীদের কলোনি রয়েছে। সেখানে ৫৪টি পরিবার থাকে। ওই কলোনির জন্য মেট্রোর স্তম্ভ তৈরি করা যাচ্ছিল না। সুভাষ সরোবরের অন্য এলাকায় অস্থায়ী পুনর্বাসনের প্রস্তাব মানতে রাজি ছিলেন না ওই বাসিন্দারা। তার জেরে সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগানের মধ্যে লাইন তৈরির কাজ আটকে যায়।
জট কাটাতে আলোচনা চলছিল। শেষে পুর-সাফাইকর্মীদের পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য ওই এলাকায় আট কাঠা জমি নেয় কলকাতা পুরসভা। কেএমআরসি জানিয়ে দেয়, সুভাষ সরোবরে যতগুলি স্তম্ভ তৈরির পরিকল্পনা ছিল, তার থেকে কম স্তম্ভ তৈরি হবে। এতে কলোনির সব ক’টি পরিবারকে সরাতে হবে না। কেএমআরসি সূত্রের খবর, ওই জমিতে সুভাষ সরোবর এলাকার মোট ৪০টি পরিবার পুনর্বাসন পাবে।
এ দিনের ভূমিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন কেএমআরসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত গুপ্ত, স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতা পুরসভা এবং ঠিকাদার সংস্থার পদস্থ কর্তারা। কেএমআরসি সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফুলবাগান এবং সল্টলেক স্টেডিয়ামের মধ্যে রেললাইনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। দত্তাবাদেও বিকল্প পুনর্বাসনের সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা চলছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বৌবাজারে মেট্রো প্রকল্পের জন্য ‘বেআইনি’ ভাবে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জানাবে রাজ্য সরকার।
|