মাস ছয়েক আগে স্কুলের বারান্দায় দেওয়ালে বড়সড় ফাটল নজরে আসতেই আসতেই চমকে উঠেছিলেন শিক্ষক, পড়ুয়া সকলেই। যে কোনও সময়ে বিপদ ঘটতে পারে এই আশঙ্কায় ওই বারান্দা সংলগ্ন ক্লাসঘর ফাঁকা করে দিতে হয় রাজনগর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। সমস্যার কথা স্কুলের তরফে বিডিও, জেলাশাসক, স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক), সর্বশিক্ষা মিশন-সহ প্রশসনের বিভিন্ন স্থরে জানানো হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্কুলে আসেন প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের নির্দেশ মতো নীচতলা ও উপরতলার চারটি ক্লাস সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু এই ভাবে কত দিন চলতে পারে? এই অবস্থায় গত শুক্রবার ওই স্কুলভবনের গেট ও সংলগ্ন ঘর এবং মুক্ত মঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে বিপজ্জনক হয়ে থাকা শ্রেণিকক্ষের জন্য আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। প্রয়োজনে আরও সাহায্য করার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। |
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে ১৯২৪ ছাত্রছাত্রী আছে। এমনিতেই ক্লাসে বসার স্থানাভাব রয়েছে সেখানে চারটি ঘর অকেজো হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক প্রমথনাথ ভাণ্ডারী বলেন, “অর্ধশতাব্দীরও বেশি আগে তৈরি হওয়া ওই ভবনে নবম, দশম শ্রেণির দু’টি ‘সেকশন’ এবং পঞ্চম শ্রেণির ক্নাসগুলি হত। এতজন ছাত্র-ছাত্রীকে ওখান থেকে সরানোর সমস্যার পাশাপাশি ওই আংশটির ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই শাল খুঁটি দিয়ে সেটা আটকানোর একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংসদের অর্থ সাহায্য কাজে লাগবে।”
কিন্তু স্কুলের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে নতুন শ্রেণিকক্ষ তৈরি করার কাজ করতে ওই টাকা পর্যাপ্ত হবে না বলে মনে করছেন শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনেকেই। সেটা কার্যত মেনে নিয়েছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু দফতর থেকে আরও তিন লক্ষ টাকা ওই স্কুল যাতে পায় সেটা দেখব।” তবে প্রধান শিক্ষক বলেন, “পরে সর্বশিক্ষা মিশন বা অন্য খাত থেকে আরও অর্থ বরাদ্দ হবে বলে আশা করছি।”
রাজনগরের বিডিও প্রভাংশু হালদার বলেন, “স্কুলের বিপজ্জনক অংশ ভেঙে সেখানেই ক্লাস ঘর হবে, না ওই অংশ মেরামত করা সম্ভব—সেটা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র পূর্ত দফতর। আমি সেখানে জানিয়েছি।” |