প্রকৃত তৃণমূলকর্মীদের বাদ দিয়ে সিপিএম থেকে আসা স্বার্থান্বেষীদের দলে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার নানুরে একটি প্রতিবাদ সভায় এই অভিযোগ করলেন সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ।
বিধায়ক গদাধর হাজরা-সহ দলীয় কর্মীদের মারধর ও ব্লক কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠী ওই সভা ও মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছিল। এ দিন স্বপনবাবু কারও নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন, “লালু মোড়ল আমাদের রাজা হয়েছেন। ভুলু মন্ত্রী!” তাঁর অভিযোগ, “বেছে বেছে সিপিএম-ফরওয়ার্ড ব্লকের ধান্দাবাজদের দলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। ওই সব দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লড়াই করে আসা তৃণমূলের প্রকৃত কর্মীদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না।” |
প্রসঙ্গত, শনিবার বিকেলে কীর্ণাহার স্টেশনে আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ লাইনের ব্রডগেজ লাইনে রূপান্তরের শিলান্যাস ছিল। ওই অনুষ্ঠানে অনুব্রতবাবু ও রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একই সময়েই নানুর বাজারে বন্ধ ও রাস্তা অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রতবাবুর বিরোধী গোষ্ঠীর বলে পরিচিত গদাধরবাবুরা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি তাঁদের এক ব্লক নেতার স্ত্রী ও মা’কে মারধর ও তাঁর বাড়িতে হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এই কর্মসূচি। ওই মামলায় অভিযুক্তেরা অনুব্রতবাবুর অনুগামী বলেও তাঁরা দাবি করেছিলেন। শনিবার ওই অনুষ্ঠানের পরেই তৃণমূলের নানুর ব্লক অফিসে হামলা হয়। গদাধরবাবুর অভিযোগ করেছিলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী তথা দলের অন্যতম জেলা সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন লাঠি নিয়ে আমাদের উপরে চড়াও হয়।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি অবশ্য ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন। স্বপনবাবুর এ দিনের অভিযোগ সম্পর্কেও অনুব্রতবাবু বলেন, “ওরা পাগলের প্রলাপ বকছে। কী জবাব দেব!”
এ দিকে পুলিশ জানিয়েছে, দুই পক্ষ মোট ৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। |