বাঁশের সেতু নদীতে ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে কালনা ১ ব্লকের ঘুঘুডাঙা গ্রামে। হাটে, বাজারে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বর্তমানে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের ভরসা কখনও কাঠের নৌকা বা সিমেন্টের ডাবা।
নান্দাই পঞ্চায়েতের এই গ্রামটি মূলত মুসলিম অধ্যুষিত। প্রায় হাজার খানেক মানুষের বসতি এই গ্রামে। বেশির ভাগই কৃষিজীবী। পাশেই বইছে গুরজোয়ানি নদী। প্রায় প্রতি বর্ষাতেই জল উপচে পড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয় গ্রামে। বাসিন্দারা জানান, গত চার দশক ধরে নদী পেরিয়ে স্কুল, হাসপাতাল, বাজার, চাষের জমি-সহ বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম ৩৫ ফুট লম্বা ওই বাঁশের সাঁকোটি। বাসিন্দাদের দাবি, দিন দশেক আগে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে সেতুটি। তাতে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন গ্রামের বাইরের স্কুলের পড়ুয়ারা। কখনও নৌকা, কখনও সিমেন্টের ডাবায় চড়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে তাদের। |
বাসিন্দারা, বর্ষার শুরু থেকেই নড়বড় করতে শুরু করে এই সেতুটি। কখনও বা বাঁশের নিচের অংশে পচনও ধরে। গ্রামবাসী কাবিল শেখ জানান, এখন মাঠে পাট কাটা ও কাটা পাট নদীতে পচানোর কাজ চলছে। বেশির ভাগ সময়ে নৌকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে গ্রামে নিয়ে যেতে হচ্ছে ছাড়ানো পাট। অপর এক বাসিন্দা খায়রুল শেখ বলেন, “এখন দিনের বেলায় সেতুর কাছে একটি বেসরকারি নৌকা চলাচল করছে। কিন্তু সন্ধ্যে হতেই আর সেই পরিষেবা মিলছে না।” তাঁর আরও ক্ষোভ, “ওই সময়ে গ্রামে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাবায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।”
বাঁসের সেতু ভেঙে পড়ায় গ্রামবাসীদের সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, পঞ্চায়েত সদস্য লিয়াকৎ শেখ। তিনি বলেন, “পরিস্থিতির কথা পঞ্চায়েতকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আপাতত বিপদ ঠেকাতে তাড়াতাড়ি সেতুটির পুনর্নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েতের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, গ্রামের নদীর উপর পাকা সেতুর প্রয়োজন রয়েছে। যত দিন না তা করা যাচ্ছে তত দিন সমস্যা কাটবে না। পঞ্চায়েত প্রধান ইদের আলি মোল্লা বলেন, “দ্রুত সেতুটির পুনর্নির্মাণের চেষ্টা চলছে।” তিনি জানান, ওই গ্রামে পাকা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে ইতি মধ্যে একটি পরিকল্পনা জমা পড়েছে জেলায়। |