ক্লাবঘরের পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে মিলল বেশ কিছু রেশন কার্ড। রবিবার সকালে কালনা ২ ব্লকের সাতগাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। কার্ডগুলিতে যে রেশন ডিলারের সই রয়েছে, সেই নিরঞ্জন সরকারকে গ্রেফতার করেছে কালনা থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিষ্ণুপদ বিশ্বাস সকাল ৯টা নাগাদ ক্লাবের সামনে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। এলাকার কয়েক জনকে ডেকে তিনি ব্যাগটি খুলে দেখেন ভিতরে বেশ কিছু কাগজপত্র রয়েছে। ভিজে যাওয়া সেই সব কাগজপত্রের বেশির ভাগই ছিঁড়ে হয়ে যাওয়া পুরনো রেশনকার্ড। এ ছাড়াও ছিল জমিজমা সংক্রান্ত নথি, চিকিৎসকের শংসাপত্র ইত্যাদি। রেশন দোকানের নম্বর ও ডিলারের সই দেখেই বিক্রমনগর এলাকার ডিলার নিরঞ্জনবাবুকে চিহ্নিত করা হয়। বাসিন্দারা ব্যাগটি পুলিশের হাতে তুলে দেন। বিষ্ণুপদবাবু ওই ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ প্রথমে নিরঞ্জনবাবুকে আটক, পরে তাঁকে গ্রেফতার করে। |
স্থানীয় বাসিন্দা রাজু দাসের দাবি, “একশোরও বেশি কার্ড পাওয়া গিয়েছে। ১২ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে, এমন ব্যক্তিরও কার্ড রয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সম্প্রতি ইন্দিরা বাজারে এসে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছিলেন, রাজ্যে এক কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। তার মধ্যে কয়েক লক্ষ কার্ড উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকিগুলি উদ্ধারের জন্য অভিযানে নামা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তাতে ভয় পেয়েই কার্ডগুলি এ ভাবে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। পুলিশ জানায়, কার্ডগুলি যদি কেউ নষ্ট করতে চেয়ে থাকেন তবে না পুড়িয়ে সেগুলি কেন রাস্তায় ফেলে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মহকুমা রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশীল ঘোষ জানান, মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড খাদ্য দফতরের হাতেই তুলে দেওয়া নিয়ম। তাঁর কথায়, “তদন্তে ওই ডিলার দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেন। সে ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভাবে প্রশাসনের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।” পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। |